ওকে অন্য একটা সেঞ্চুরি দাও
ষোড়শ কিংবা সপ্তদশ
তখন দেখবে চকমকাচ্ছে ওর আসল তেজ
বলেছিলেন কমলকুমার
তবে কি আমি এ যুগের উপযুক্ত নই?
এসব রাস্তা চিনি না বলেই এত হোঁচট খাই।
এখনও নৌকো দেখলে উচ্ছল হই। বিমানে উঠি বাধ্য হয়ে
ক্রুবাদুরদের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করি, বাউল ফকিরদের সঙ্গেও
চার্বাকপন্থীদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছি
যেতে ইচ্ছে করে সমস্ত সীমান্তের ওপারে
রথের মেলায় হারিয়ে গিয়ে এক চাষির বাড়িতে শুয়ে থাকি
অন্ধ কিশোরীটিকে দেখে মনে হয় ওর স্পর্শে।
আমার কপাল জুড়োবে
যখন দিনদুপুরে দেখতে পাই উল্লুকদের উৎপাত
কোমর বন্ধ না থাকলেও আমি অদৃশ্য তলোয়ার খুঁজি।
কিন্তু আমি তো ছেঁড়া চটি পরে মন্দিরের পাশ দিয়ে
যেতে যেতে থেমে গিয়ে প্রণাম করিনি কখনও
রামধনুকে জেনেছি শুধু জলবিন্দুর কারুকার্য
ফ্রয়েড, ডারউইন ও কার্ল মার্কস, এই তিন দাড়িওয়ালার
উত্তরাধিকার মেনে নিয়েছি
অনুভব করেছি আইনস্টাইনের শেষ জীবনের মনোবেদনা
ইন্টারনেটে দেখি বিশ্বকে, ই-মেইলে চিঠি পাঠাই
তবু কমলদা, আপনি ঠিকই বলেছিলেন
আমার কিছুতেই পছন্দ হচ্ছে না এই সেঞ্চুরিটা
কুড়ি থেকে একুশে পা, তবু সাবালক হচ্ছে না এই সভ্যতা
চতুর্দিকে কীসের এত শব্দ, অধঃপতনের?
আপনি কোন সেঞ্চুরিতে আছেন, কমলদা, তেইশ না চব্বিশ?
তখন কি বাতাসে পেট্রোল-ডিজেলের গন্ধের বদলে
বনতুলসীর গন্ধ ফিরে আসবে
শরীরের উন্মাদনাকে ঘিরে থাকবে একটা কিছু পবিত্রতা
রাত জেগে আয়ুক্ষয় করবে কবিরা
চার অক্ষরের শব্দের মধ্যে বাংলা ভালোবাসা
প্রথম স্থান অধিকার করে নেবে?
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন