ছন্দ-মিলের বন্দনা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ছন্দে লিখতে চাইনি, তবুও শব্দ প্রণয়াবদ্ধ,
এ ওকে দোলায়! আঙুলের দোষ? লেখনী স্বাধীন? শ্রীমতী
তুমি কি চাইলে ঝর্না কলমে ঝর্না জাগুক সদ্য?
যদি তাই হয় তার পরে আর মিল দিলেই বা কী ক্ষতি!
ভয় হয় কেউ বলবে এমন পুরনো রীতির স্তোত্র
পাথরের গায়ে মানায় হয়তো, কিন্তু রক্তমাংস?
এসব কবিরা দাড়িওয়ালা সব প্রাচীন কবির গোত্র
রূপের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় শরীরের অর্ধাংশ!
ছিল একদিন, হাটে বাজারের মানুষের মণিমুক্তো
কুড়িয়ে গেঁথেছি কবিতায়, যত কর্কশ তত স্বস্তি
তুই-তুকারিতে শ্রীমতী সেদিন অরুণ বর্ণ মুখ তোর
রাজপ্রাসাদকে বানিয়ে তুলেছি সব-হারাদের বস্তি।
ছন্দ মিশেছে জুতোর ধুলোয়, মিলকে দিয়েছি ফুৎকার
বেশি উপমার বাড়াবাড়ি হলে, গিয়েছি সটান গদ্যে
চাঁদ বিলুপ্ত, যে-কোনও সময় বর্ষণ হত উল্কার
গুরু ও চাড়াল, চোর-সন্ন্যাসী, মিশেছে বিষ ও মদ্যে!
আজ কি শ্রীমতী উদাস লাস্যে সব কিছুকেই না-মানা
সমুদ্রতীরে আমাকেও ভুলে আরও দূরে চলে যেতে চাও?
শিল্প বিভায় কটি মুহূর্ত ছোঁবে অনন্ত সীমানা
ছন্দ-মিলের এই বন্দনা, সখী, করতল পেতে নাও!
এ ওকে দোলায়! আঙুলের দোষ? লেখনী স্বাধীন? শ্রীমতী
তুমি কি চাইলে ঝর্না কলমে ঝর্না জাগুক সদ্য?
যদি তাই হয় তার পরে আর মিল দিলেই বা কী ক্ষতি!
ভয় হয় কেউ বলবে এমন পুরনো রীতির স্তোত্র
পাথরের গায়ে মানায় হয়তো, কিন্তু রক্তমাংস?
এসব কবিরা দাড়িওয়ালা সব প্রাচীন কবির গোত্র
রূপের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় শরীরের অর্ধাংশ!
ছিল একদিন, হাটে বাজারের মানুষের মণিমুক্তো
কুড়িয়ে গেঁথেছি কবিতায়, যত কর্কশ তত স্বস্তি
তুই-তুকারিতে শ্রীমতী সেদিন অরুণ বর্ণ মুখ তোর
রাজপ্রাসাদকে বানিয়ে তুলেছি সব-হারাদের বস্তি।
ছন্দ মিশেছে জুতোর ধুলোয়, মিলকে দিয়েছি ফুৎকার
বেশি উপমার বাড়াবাড়ি হলে, গিয়েছি সটান গদ্যে
চাঁদ বিলুপ্ত, যে-কোনও সময় বর্ষণ হত উল্কার
গুরু ও চাড়াল, চোর-সন্ন্যাসী, মিশেছে বিষ ও মদ্যে!
আজ কি শ্রীমতী উদাস লাস্যে সব কিছুকেই না-মানা
সমুদ্রতীরে আমাকেও ভুলে আরও দূরে চলে যেতে চাও?
শিল্প বিভায় কটি মুহূর্ত ছোঁবে অনন্ত সীমানা
ছন্দ-মিলের এই বন্দনা, সখী, করতল পেতে নাও!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন