(১)
তুতুর তুয়া তুতুর তুয়া পিড়কা পিটাং
নাচ থো মাঝি নাচরে মেঝেন্ ধিড়কা ধিতাং ধিতাং
মারু মহুল দারু মুর্গাশুখা
শহর থেকে বাবু আলেন ঘুর ঘুর না নাচ দেখা-আ!
পয়সা দিবে কাম দিবে বাবুর বাড়ি নাস্তা হবে
ঘুর ঘুর না ধিড়কা ধিতাং নাচরে মেঝেন্ ধিড়কা ধিতাং!
(২)
মেঘপাহাড় আলুঝালু জষ্টি মাসে বিষ্টি
ছিল আকাশ গোমড়ামুখো ভাসলো এবার ছিষ্টি
টুপটুপটুপ টিনের চালে টোঁয়া টোঁয়া কান্না
পিসশাশুড়ি হেঁকে বলেন, দে খ্যামা দে, আর না!
ধর ধর ব্যাং উল্টে শোয়া, এসো রোদ্দুর দাদা
বিদেশ থেকে বর আসবে,—হাঁটু সমান কাদা!
(৩)
নৌকার মাঝি চারজনা হাল দাঁড় মোট তিনখানি
ছয় চোখ করে জল ঘোলা দুই চোখ মুদে রয় ধ্যানী!
সাদা পাল চায় পশ্চিমে যায়, না-এর গলুই দক্ষিণে
দুইজনা হাসে দুইজনা কঁদে বায়ু চলে যায় পথ চিনে!
বিজলি হাসলো আকাশ দুখা জল উঠে পড়ে গম্বুজে
কবি কয়, ওরে মুখ মাল্লা, ঘুমায়ে পড় গা চোখ বুজে।
(৪)
ছিল নিঝুম পুষ্করিণী জলে নামলো কে?
এল যে আজ অভিমানিনী ওলো জোকার দে!
চাপার বন্ন ঠোঁট দু’খানি ভোমরা পানা অক্ষি
অভিমানিনী ঘাটে রইলে দেখবে না কাক পক্ষী
বুক জ্বলে যায় আড় পানে চায়, যা না ঠাকুরঝি
অভিমানিনী একা নাইবে দেখবে এক সূয্যি।
ওমা ওমা সূয্যিও যে মুখ লুকিয়ে সাদা
চোখের মাথা খেয়ে রইলো মৌরলা আর চাঁদা!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন