অলীক দেখা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ঝড়ের যেমন একটা চোখ থাকে তেমনি নদীরও থাকে
দুটো ডানা
পাহাড় মাঝে মাঝে মাথা নিচু করে
এক দেশ সরে যায় অন্য সমুদ্রের দিকে
মরুভূমি লকলকে জিভ দিয়ে চাটে মেঘ
নারীরা মিহিন বাতাসে মিশে অদৃশ্য হয়ে যায়
এক একদিন রাত্তিরের ঝিমঝিমে অন্ধকারে বসে থেকে দেখেছি
পাথরের গায়ে ছেনি দিয়ে লেখা হচ্ছে ইতিহাস।
অকস্মাৎ শোনা যায় ছুটন্ত নক্ষত্রগুলির গগনভেদী শব্দ
বিশ্ব-নিখিলের ঐকতানে একটু একটু করে লাগছে রং
বইয়ের পৃষ্ঠায় দীর্ঘশ্বাস ফেলছে অতৃপ্ত মৃত লেখকরা
একটা পোড়ো, ভাঙা বাড়ির সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে
অতি বৃদ্ধ, বিস্মৃত রাজমিস্তিরি
দেওয়ালের বাঁধানো ছবি ঝড়কে ডাকছে, এসো, এসো
একদিন রাত্তিরের ঝিমঝিমে অন্ধকারে বসে থেকে দেখেছি
জোনাকিগুলি উড়ে উড়ে রচনা করছে
আমারই ব্যর্থতার ছবি
কে যেন ডাকছে, এমন অজানাতম দুঃখী কণ্ঠস্বরে?
দুটো ডানা
পাহাড় মাঝে মাঝে মাথা নিচু করে
এক দেশ সরে যায় অন্য সমুদ্রের দিকে
মরুভূমি লকলকে জিভ দিয়ে চাটে মেঘ
নারীরা মিহিন বাতাসে মিশে অদৃশ্য হয়ে যায়
এক একদিন রাত্তিরের ঝিমঝিমে অন্ধকারে বসে থেকে দেখেছি
পাথরের গায়ে ছেনি দিয়ে লেখা হচ্ছে ইতিহাস।
অকস্মাৎ শোনা যায় ছুটন্ত নক্ষত্রগুলির গগনভেদী শব্দ
বিশ্ব-নিখিলের ঐকতানে একটু একটু করে লাগছে রং
বইয়ের পৃষ্ঠায় দীর্ঘশ্বাস ফেলছে অতৃপ্ত মৃত লেখকরা
একটা পোড়ো, ভাঙা বাড়ির সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে
অতি বৃদ্ধ, বিস্মৃত রাজমিস্তিরি
দেওয়ালের বাঁধানো ছবি ঝড়কে ডাকছে, এসো, এসো
একদিন রাত্তিরের ঝিমঝিমে অন্ধকারে বসে থেকে দেখেছি
জোনাকিগুলি উড়ে উড়ে রচনা করছে
আমারই ব্যর্থতার ছবি
কে যেন ডাকছে, এমন অজানাতম দুঃখী কণ্ঠস্বরে?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন