সওদাগরের হরিণ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমাদের এই ছোট্ট পাহাড়
বন-জংলায় ঢাকা
দিনের বেলা ফুলের বাহার
রাত্রে ছবি আঁকা।
পাহাড়খানার মালিক এক
বৃদ্ধ সওদাগর
একলা একলা ঘুমিয়ে থাকে
বনের মধ্যে ঘর।
সওদাগরের বন্ধু শুধু
একটা হরিণ ছানা
আমরা যাই যেখানে খুশি
সেখানে যেতে মানা।
দূরের থেকে গাছের ফাঁকে
কখনো দিয়ে উঁকি
ঠোঁটে কুলুপ, স্পিকটি নট
ওদের কাণ্ড দেখি।
সওদাগর মন্ত্র জানে,
যে-ই মন্ত্র পড়ে
হরিণ ছানা পদ্য বলে
বাংলা অক্ষরে।
সেই হরিণের পদ্য কেউ
শুনবে একটুখানি।
শুনেই মনটা খারাপ হবে
আগের থেকেই জানি!
আমার খুব ইচ্ছে করে
কলকাতায় যাব
মনের সুখে গড়ের মাঠে
নধর ঘাস খাব।
মানুষ আসে পাহাড়-বনে
কত ফুর্তি করে
বনের হরিণ শহরে গেলে
অমনি কেন মরে?
বন-জংলায় ঢাকা
দিনের বেলা ফুলের বাহার
রাত্রে ছবি আঁকা।
পাহাড়খানার মালিক এক
বৃদ্ধ সওদাগর
একলা একলা ঘুমিয়ে থাকে
বনের মধ্যে ঘর।
সওদাগরের বন্ধু শুধু
একটা হরিণ ছানা
আমরা যাই যেখানে খুশি
সেখানে যেতে মানা।
দূরের থেকে গাছের ফাঁকে
কখনো দিয়ে উঁকি
ঠোঁটে কুলুপ, স্পিকটি নট
ওদের কাণ্ড দেখি।
সওদাগর মন্ত্র জানে,
যে-ই মন্ত্র পড়ে
হরিণ ছানা পদ্য বলে
বাংলা অক্ষরে।
সেই হরিণের পদ্য কেউ
শুনবে একটুখানি।
শুনেই মনটা খারাপ হবে
আগের থেকেই জানি!
আমার খুব ইচ্ছে করে
কলকাতায় যাব
মনের সুখে গড়ের মাঠে
নধর ঘাস খাব।
মানুষ আসে পাহাড়-বনে
কত ফুর্তি করে
বনের হরিণ শহরে গেলে
অমনি কেন মরে?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন