স্মৃতির শহর ০৯
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তেলীপাড়া লেনের ভূতের বাড়িটার তিন তলার জানলা খোলা
কাল বন্ধ ছিল, সারা জীবনই বন্ধ দেখেছি।
শীতের রাত্তিরে বাইরে আঁচাবার সময় কে যেন আঁচড়ে দিল বাহু
সাদা সাদা সমান্তরাল দাগ কিন্তু ব্যথা লাগে না
আজ রাত্রে লেপতোশক ভিজে যাবে
ঠিক রাত আড়াইটেয় ডেকে উঠবে নিশি, অরুণ! অরুণ!
উত্তেজিত পুরুষাঙ্গে হাফ প্যান্ট তাঁবু হয়ে যায়,
তবু ভয় যায় না—
অরুণকে আর দেখিনি, তাকে ডেকে নিয়ে গেল জব্বলপুর
সে কী রকম দেশ যেখান থেকে আসে না কোনো চিঠি
কেউ জানে না আমি অরুণকে কত ভালোবাসি
চোখের জলের রেখা পড়ে বালিশে
ঘণ্টাওয়ালা বাড়ি থেকে ভোরবেলা বেজে উঠলো পাগলা ঘন্টি
দমকলের চেয়েও অবিরাম ঢং ঢং শব্দ
কে যেন বললো, পাগল হয়ে গেছে রামশরন
ইস্কুল যাবার পথে ওদের বাগানে উকি দিয়ে দেখলুম
সেই ডানাওয়ালা শ্বেত পাথরের পরীটি নেই
সে নিশ্চয়ই উড়ে গেছে জব্বলপুরে, অরুণের কাছে।
কাল বন্ধ ছিল, সারা জীবনই বন্ধ দেখেছি।
শীতের রাত্তিরে বাইরে আঁচাবার সময় কে যেন আঁচড়ে দিল বাহু
সাদা সাদা সমান্তরাল দাগ কিন্তু ব্যথা লাগে না
আজ রাত্রে লেপতোশক ভিজে যাবে
ঠিক রাত আড়াইটেয় ডেকে উঠবে নিশি, অরুণ! অরুণ!
উত্তেজিত পুরুষাঙ্গে হাফ প্যান্ট তাঁবু হয়ে যায়,
তবু ভয় যায় না—
অরুণকে আর দেখিনি, তাকে ডেকে নিয়ে গেল জব্বলপুর
সে কী রকম দেশ যেখান থেকে আসে না কোনো চিঠি
কেউ জানে না আমি অরুণকে কত ভালোবাসি
চোখের জলের রেখা পড়ে বালিশে
ঘণ্টাওয়ালা বাড়ি থেকে ভোরবেলা বেজে উঠলো পাগলা ঘন্টি
দমকলের চেয়েও অবিরাম ঢং ঢং শব্দ
কে যেন বললো, পাগল হয়ে গেছে রামশরন
ইস্কুল যাবার পথে ওদের বাগানে উকি দিয়ে দেখলুম
সেই ডানাওয়ালা শ্বেত পাথরের পরীটি নেই
সে নিশ্চয়ই উড়ে গেছে জব্বলপুরে, অরুণের কাছে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন