আত্মার আয়না
শুভশ্রী রায়
যে সব অন্ধকারের কোনো নাম হয় না
যে সব আলোকে উদযাপন করা যায় না
যে সব বিষাদের কোনো চিকিৎসা হয় না
সে রকমই কিছু অন্ধকার, আলো আর বিষাদের
কবিতা লেখা হোক। আত্মা বায়না ধরেছে।
কিন্তু আমার খাতায় কি সেই
আঁধার ধরবে, খাতার কাগজ কি সেই সব
আলোয় আরো ফ্যাকাশে দেখাবে না ধবল?
এ সব প্রশ্ন ঘূর্ণি'র মতো ঘুরপাক খায় আর আমাকে জাগিয়ে রাখে।
অতঃপর
বিষাদের কথাও তো বলা হয়নি
সস্তার কলমটাও তাই বিষণ্ণ বোধ করছে ।
মাথার ভেতর আলো, আঁধার আর বিষাদের
পৃথক পৃথক ঘূর্ণি
সব নিয়ে আমিও টালমাটাল,
কী করি অথবা না করি?
তাহলে কী জীবনের সব কথা কবিতার
খাতাকে বলাই যাবে না?
হাজার হ'লেও, যে সব অন্ধকারকে অজ্ঞতা বা কষ্ট জাতীয় নাম দেওয়া যায় না তারাও চোখে
থাকে, এমন কি চোখের বাইরেও বসবাস করে।
সেই সঙ্গে
যে সব আলোকে কোনো ঝকঝকে সমীকরণে ঢোকানো যায় না,
যে সব আলো দামী ভোজনালয়ে অদ্ভুত
মিঠে বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বানানো আকর্ষণীয় ধনতান্ত্রিক উপকথায় নেই,
তারাও বিভিন্ন মাত্রার তীব্রতা নিয়ে সামনে-পেছনে রয়েছে।
যে সব বিষাদের কোনো চিকিৎসা হয় না অথচ
যাদের প্রতিক্রিয়ায় জিভ ছেড়ে পুরো অস্তিত্বটাই
আস্তে আস্তে তেতো হয়ে যায়, তারাও অদৃশ্য বস্তুকণার মতো নিঃশ্বাসে মিশে যাচ্ছে।
এই সব আলো
এই সব আঁধার
এই সব বিষাদ
স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।
এদেরকে কবিতায় আনতে না পারলে
জীবনের সমস্ত ভাঁজ খোলা কবিতা
লেখা যাবে না।
দীনহীন পংক্তিগুলো আত্মার আয়না
হয়ে উঠবে না কিছুতেই।
তাই তো আমি মাথার ভেতর পৃথক পৃথক চিন্তার
ঘূর্ণি নিয়ে টালমাটাল, পা থেকে মাথা অবধি
দ্বিধাগ্রস্ত, যন্ত্রণায় ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছি অবিরত।
সামনে প্যাপিরাস সাম্রাজ্য কিছু ভেট চায়।
কী দেব তাকে?
এই সব আলো, এই সব আঁধার, এই সব বিষাদ
নিয়ে সে খুশি হবে কী না, তাও অজানা।
যে দিকে সমাধান দেখি সে দিকেই ভাবনা
অদ্ভুত কারো পরিহাসে খুলে যাচ্ছে
একটার পর একটা চিন্তার ডানা।
যে সব আলোকে উদযাপন করা যায় না
যে সব বিষাদের কোনো চিকিৎসা হয় না
সে রকমই কিছু অন্ধকার, আলো আর বিষাদের
কবিতা লেখা হোক। আত্মা বায়না ধরেছে।
কিন্তু আমার খাতায় কি সেই
আঁধার ধরবে, খাতার কাগজ কি সেই সব
আলোয় আরো ফ্যাকাশে দেখাবে না ধবল?
এ সব প্রশ্ন ঘূর্ণি'র মতো ঘুরপাক খায় আর আমাকে জাগিয়ে রাখে।
অতঃপর
বিষাদের কথাও তো বলা হয়নি
সস্তার কলমটাও তাই বিষণ্ণ বোধ করছে ।
মাথার ভেতর আলো, আঁধার আর বিষাদের
পৃথক পৃথক ঘূর্ণি
সব নিয়ে আমিও টালমাটাল,
কী করি অথবা না করি?
তাহলে কী জীবনের সব কথা কবিতার
খাতাকে বলাই যাবে না?
হাজার হ'লেও, যে সব অন্ধকারকে অজ্ঞতা বা কষ্ট জাতীয় নাম দেওয়া যায় না তারাও চোখে
থাকে, এমন কি চোখের বাইরেও বসবাস করে।
সেই সঙ্গে
যে সব আলোকে কোনো ঝকঝকে সমীকরণে ঢোকানো যায় না,
যে সব আলো দামী ভোজনালয়ে অদ্ভুত
মিঠে বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বানানো আকর্ষণীয় ধনতান্ত্রিক উপকথায় নেই,
তারাও বিভিন্ন মাত্রার তীব্রতা নিয়ে সামনে-পেছনে রয়েছে।
যে সব বিষাদের কোনো চিকিৎসা হয় না অথচ
যাদের প্রতিক্রিয়ায় জিভ ছেড়ে পুরো অস্তিত্বটাই
আস্তে আস্তে তেতো হয়ে যায়, তারাও অদৃশ্য বস্তুকণার মতো নিঃশ্বাসে মিশে যাচ্ছে।
এই সব আলো
এই সব আঁধার
এই সব বিষাদ
স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।
এদেরকে কবিতায় আনতে না পারলে
জীবনের সমস্ত ভাঁজ খোলা কবিতা
লেখা যাবে না।
দীনহীন পংক্তিগুলো আত্মার আয়না
হয়ে উঠবে না কিছুতেই।
তাই তো আমি মাথার ভেতর পৃথক পৃথক চিন্তার
ঘূর্ণি নিয়ে টালমাটাল, পা থেকে মাথা অবধি
দ্বিধাগ্রস্ত, যন্ত্রণায় ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছি অবিরত।
সামনে প্যাপিরাস সাম্রাজ্য কিছু ভেট চায়।
কী দেব তাকে?
এই সব আলো, এই সব আঁধার, এই সব বিষাদ
নিয়ে সে খুশি হবে কী না, তাও অজানা।
যে দিকে সমাধান দেখি সে দিকেই ভাবনা
অদ্ভুত কারো পরিহাসে খুলে যাচ্ছে
একটার পর একটা চিন্তার ডানা।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন