মোহনায় প্রার্থনা

শুভশ্রী রায় শুভশ্রী রায়

পুরো মোহন নয় এ আখ্যান।

মোহনা পুরী, জরানগরে তাসের মন্দিরের অসংসারী বাসিন্দা , সাতেরো থেকে সত্তায় গৈরিক জড়িয়ে নিয়েছেন।
এখন ষাট পেরিয়ে সাধনায়
আরো বেশি মগ্ন, পুরো জীবন তাঁর দেবালয়কেন্দ্রিক অসংখ্য আবর্তন;
আসক্তির সমস্ত শেকড় কেটে ফেলেছেন
বলে ভক্তগণের দাবি।
তিনি অবশ্য পরম মার্গে
নিজের অগ্রগতি নিয়ে চুপ করেই থাকেন।

কোনো এক ঘোর চৈত্রের দুপুরে
শিষ্যার সঙ্গে শ্যামের বাজারে
আশ্রমের দুষ্টুমিষ্টি গোপালের জন্য
দরদাম করে পোষাক কিনতে কিনতে
তাঁর স্তন ফেটে দুধ বেরিয়ে এল।
মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় সন্ন্যাস,
অনুশাসন, সাধনার সুকঠিন পথে
পালনীয় কর্তব্য সমূহ এবং
গুরুর কঠোর নির্দেশ...

জীবনে সবচেয়ে বড় অধর্ম
যা কিছু স্বাভাবিক তাকে অস্বীকার,
মেনে নিলেন মোহনা পুরী।
চোখ বন্ধ করে বললেন,
প্রভু, আমাকে রেখ না আর
এমন বিভ্রমে যে সংযমের নামে
পরমাপ্রকৃতিকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে ধর্ম হয়।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন