মৌ মৌ রায়

শুভশ্রী রায় শুভশ্রী রায়

কত যে টুকরো টুকরো রায় দেয় খাম থেকে খেয়ালে
আমার নিরালা আদালত কিন্তু সময়টা শুভ নয়
আর নিজেরই জীবনে কোনো শ্রী না থাকায়
সে সব রায় কার্যকর করা যায় না। মনের
খুব ভার, ভোর থেকে রাত অস্থিরতা অপার।
কত দিন আমার কমরেডকে দেখি না,
থেকে যাই তাঁর দক্ষিণের নিষ্ঠুর উত্তর।
ইচ্ছে করে, তাঁকে আমার কবিতা শোনাই কিন্তু
সুযোগ হয় না, দিলদরিয়া তিনি শোনেন খালি
দলের দোলানো স্লোগান। কখনো বা ইচ্ছে হয়
তাঁকে একটু মোহনভোগ করে খাওয়াই
ঝকঝকে কাঁসার বাটিতে, তাও পারি না।
মনে হয় তাঁর পাশে বসে পোড়া কফি
আর মুসুরির ডালের বড়া দিয়ে লম্বা একটা
সন্ধেবেলাকে খাই, তাও তো পারি না। সাধ হয়,
তাঁর সাথে উত্তর কলকাতার ঘুমঘুম অলিগলি
ঘুরেফিরে হেঁটে বিনা কারণে চঞ্চল চলি
অকারণ, বাম রাজনীতিবর্জিত কিছু গুনগুন
আলোচনা সেরে নিই দু'জনে হইহই বাজারে
দলের বড় দপ্তরটাকে সাময়িক স্থগিত রেখে।
জীবনে সব কিছুরই যে সোজা সোজা কারণ
থাকতে হবে, এমনো তো নয়। কখনো বা ভাবি
তাঁর পাশাপাশি উদ্দেশ্যবিহীন রাস্তা পারাপার করি আর তারপরে সমস্ত জীবন দেবময় হয়ে উঠুক। কিন্তু এ সব কিছুই হয় না। আমি এক ছায়া দেব পাই না এবং তিনিও একটি রায় পান না। অথচ এগুলোর কোনোটাই খুব বড় বড় সিদ্ধান্ত বা ফয়সালা নয়, এগুলো নেহাতই ছোটখাটো,শুভ তথা আন্তরিক চাকভাঙা মৌ মৌ রায়।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন