ঠিকঠাক পৃথিবীতে জন্মাইনি
শুভশ্রী রায়
আমি কোনো ঠিকঠাক পৃথিবীতে জন্মাইনি
যে নিজেকে 'ভুল' মনে করব।
আমার আটপৌরে জন্মের ঢের ঢের
আগে থেকেই পৃথিবী ভীষণ ভুলভাল।
এখানে জন্মানো আর না জন্মানোর মধ্যে
এক ভুল রাবারের ফারাক
এখানে যে যার নোংরা অন্যের বাড়িতে
ফেলে দিয়ে আসে
তারপর বারোয়ারি পুরুত ডেকে বারের পুজো
নিয়ে করে বাড়াবাড়ি ।
এখানে মানুষ নিষ্পাপ অমলা বালিকাকে উল্টে আরো অন্ধকার করে দিয়ে নিজের মুখ পাল্টে
বাড়ি এসে সোহাগী ভূমিকার পর
স্ত্রীর সঙ্গে তৃপ্তির মৈথুন করে,
যাকে বলে একদম নিখুঁত।
এখানে মানুষ বলে যারা পরিচিত
তারা অভিশপ্ত ভূত,
ভূতপ্রেত অভিশাপ পেলে তবেই মানুষ হয়ে জন্মায় নিশ্চিত, পরম ও করুণাময় ঈশ্বরের
আশীর্বাদে সিক্ত ভূতেরা মানুষ হয়ে
জন্মায় না মোটেই
তাদের অনেকেরই সম্ভবত স্বচ্ছ জল-জন্ম হয়।
এখানে রোজ তিন চারটে ধর্ষণ না হ'লে
সম্পাদকের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,
আর কিছু দিন পরে অজাচার আইনসিদ্ধ হয়ে যাবে, অশালীনভাবে সোচ্চার এ দুনিয়া জুড়ে সর্বত্র
শান্ত ও শীলিত কবিরা
গমগমে শহরের কোথাও সম্মিলিত হতে না পেরে
তাড়া খেয়ে সভ্যতার প্রান্তে পৌঁছে পরস্পরের কবিতা শুনতে পারে শেষ অবধি
অথচ সমস্ত পালাপার্বণে কান ফাটিয়ে
মড়ার গান বাজানো বাচ্চা ও বুড়ো সবার
কাছে প্রশ্রয় সহ স্বীকৃত ।
আমি কোনো ঠিকঠাক পৃথিবীতে জন্মাইনি
নিজের কোনো কাজকর্ম ও দুয়েকটা
ভালো ও খারাপ বাসা নিয়ে গ্লানিতে ভুগি না
অতএব।
এই মানুষ জন্ম নয় এমন কিছু অপূর্ব
এর চেয়ে জল হয়ে জন্মালে ভালো হ'ত
কোনো একটা বড় কিছুর দিকে গড়িয়ে
যেতে পারতাম
কিম্বা ধারালো ছুরি-জন্ম হলেও উত্তম ছিল
দুয়েকটা ধনী ও মানী বেজন্মাকে কাটতে তো
পারতাম অন্তত।
জন্মপাপী একটা পৃথিবীতে জন্মেছি আমি
কে জানে কার পাপে এই জন্ম হয়ে গ্যাছে।
এখানে মাথা তুলে বাঁচতে গেলে
সাদামাটা ঠাকুরদেবতাদের ঢের আগে
সারি সারি চোর, মান্যগণ্য লম্পট আর ন্যায়নীতি'র প্রকাশ্য ব্যাপারী বাবুমহাশয়দের পা ছুঁতে হয়।
আপনারাই জানেন আপনারা কেমন পৃথিবীতে
জন্মেছেন।
যে নিজেকে 'ভুল' মনে করব।
আমার আটপৌরে জন্মের ঢের ঢের
আগে থেকেই পৃথিবী ভীষণ ভুলভাল।
এখানে জন্মানো আর না জন্মানোর মধ্যে
এক ভুল রাবারের ফারাক
এখানে যে যার নোংরা অন্যের বাড়িতে
ফেলে দিয়ে আসে
তারপর বারোয়ারি পুরুত ডেকে বারের পুজো
নিয়ে করে বাড়াবাড়ি ।
এখানে মানুষ নিষ্পাপ অমলা বালিকাকে উল্টে আরো অন্ধকার করে দিয়ে নিজের মুখ পাল্টে
বাড়ি এসে সোহাগী ভূমিকার পর
স্ত্রীর সঙ্গে তৃপ্তির মৈথুন করে,
যাকে বলে একদম নিখুঁত।
এখানে মানুষ বলে যারা পরিচিত
তারা অভিশপ্ত ভূত,
ভূতপ্রেত অভিশাপ পেলে তবেই মানুষ হয়ে জন্মায় নিশ্চিত, পরম ও করুণাময় ঈশ্বরের
আশীর্বাদে সিক্ত ভূতেরা মানুষ হয়ে
জন্মায় না মোটেই
তাদের অনেকেরই সম্ভবত স্বচ্ছ জল-জন্ম হয়।
এখানে রোজ তিন চারটে ধর্ষণ না হ'লে
সম্পাদকের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,
আর কিছু দিন পরে অজাচার আইনসিদ্ধ হয়ে যাবে, অশালীনভাবে সোচ্চার এ দুনিয়া জুড়ে সর্বত্র
শান্ত ও শীলিত কবিরা
গমগমে শহরের কোথাও সম্মিলিত হতে না পেরে
তাড়া খেয়ে সভ্যতার প্রান্তে পৌঁছে পরস্পরের কবিতা শুনতে পারে শেষ অবধি
অথচ সমস্ত পালাপার্বণে কান ফাটিয়ে
মড়ার গান বাজানো বাচ্চা ও বুড়ো সবার
কাছে প্রশ্রয় সহ স্বীকৃত ।
আমি কোনো ঠিকঠাক পৃথিবীতে জন্মাইনি
নিজের কোনো কাজকর্ম ও দুয়েকটা
ভালো ও খারাপ বাসা নিয়ে গ্লানিতে ভুগি না
অতএব।
এই মানুষ জন্ম নয় এমন কিছু অপূর্ব
এর চেয়ে জল হয়ে জন্মালে ভালো হ'ত
কোনো একটা বড় কিছুর দিকে গড়িয়ে
যেতে পারতাম
কিম্বা ধারালো ছুরি-জন্ম হলেও উত্তম ছিল
দুয়েকটা ধনী ও মানী বেজন্মাকে কাটতে তো
পারতাম অন্তত।
জন্মপাপী একটা পৃথিবীতে জন্মেছি আমি
কে জানে কার পাপে এই জন্ম হয়ে গ্যাছে।
এখানে মাথা তুলে বাঁচতে গেলে
সাদামাটা ঠাকুরদেবতাদের ঢের আগে
সারি সারি চোর, মান্যগণ্য লম্পট আর ন্যায়নীতি'র প্রকাশ্য ব্যাপারী বাবুমহাশয়দের পা ছুঁতে হয়।
আপনারাই জানেন আপনারা কেমন পৃথিবীতে
জন্মেছেন।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন