বিচ্ছেদ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
দেখা হয়, কথা হয়, তবু বিচ্ছেদের কথা মনে পড়ে
খুঁড়ে তোলা মাটি থেকে জমে ওঠে নিকৃষ্ট পাহাড়
চোখের সম্মুখে তুমি দাড়ালেও স্বচ্ছ বাতাসের ব্যবধান
আমার এমনই রাগ, আমি সেই স্বচ্ছতাকে শত্রু বলে ভাবি!
ভালোবাসা শব্দটিতে ইদানীং প্রচুর মিশেছে জল
বস্তুত বন্যার স্রোতে ভেসে যায় ভালোবাসা
ঐ দ্যাখো, সকলেই দেখে
এ রকম সার্বজনীনতা আমি পছন্দ করি না।
বিচ্ছেদ শব্দটি যেন নিজের শরীরে সাদা পুঁজ-ফোঁড়া
অতি সন্তর্পণে হাত বুলিয়ে আরাম লাগে বেশ
এ যেন নির্মাণ-সুখ, অথচ দুঃখের চাপা ব্যথা!
নীরা, এই কথাগুলো রোজ বলি বলি করে
ফিরে যাই,
মধ্যরাত্রে জানে শুধু পথের কুকুর!
একাকিত্ব গাঢ় হলে আমি অন্ধকার দিয়ে
গড়ে নিই
তোমার আদল
সে আদল বুকে নেওয়া কত সোজা,
কত তীব্র আলিঙ্গন
সজিভ চুম্বনে সেই কবেকার নদীতীরে প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা
কৈশোরের স্বাদ
সেই ছবি, নীরা, তুমি স্নানঘরে দর্পণে দেখো না?
খুঁড়ে তোলা মাটি থেকে জমে ওঠে নিকৃষ্ট পাহাড়
চোখের সম্মুখে তুমি দাড়ালেও স্বচ্ছ বাতাসের ব্যবধান
আমার এমনই রাগ, আমি সেই স্বচ্ছতাকে শত্রু বলে ভাবি!
ভালোবাসা শব্দটিতে ইদানীং প্রচুর মিশেছে জল
বস্তুত বন্যার স্রোতে ভেসে যায় ভালোবাসা
ঐ দ্যাখো, সকলেই দেখে
এ রকম সার্বজনীনতা আমি পছন্দ করি না।
বিচ্ছেদ শব্দটি যেন নিজের শরীরে সাদা পুঁজ-ফোঁড়া
অতি সন্তর্পণে হাত বুলিয়ে আরাম লাগে বেশ
এ যেন নির্মাণ-সুখ, অথচ দুঃখের চাপা ব্যথা!
নীরা, এই কথাগুলো রোজ বলি বলি করে
ফিরে যাই,
মধ্যরাত্রে জানে শুধু পথের কুকুর!
একাকিত্ব গাঢ় হলে আমি অন্ধকার দিয়ে
গড়ে নিই
তোমার আদল
সে আদল বুকে নেওয়া কত সোজা,
কত তীব্র আলিঙ্গন
সজিভ চুম্বনে সেই কবেকার নদীতীরে প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা
কৈশোরের স্বাদ
সেই ছবি, নীরা, তুমি স্নানঘরে দর্পণে দেখো না?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন