দুঃখ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন ফুলচাষী এখন কাজ করছে বিস্কুট কারখানায়
সারাক্ষণ সে কষ্ট পায় গন্ধের জন্য
একজন কীর্তন গায়ক এখন সাইকেল রিক্সা চালায়
সংসার খরচ চলে যায়, তার গলা একেবারে বেসুরো
একজন বেতের ঝুড়ি বানাত, বেত এখন দুর্মূল্য
এখন প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করে, তার আঙুলের
গাঁটে গাঁটে ব্যথা
একজন যাত্রার অভিনেতা চোখে ভালো দেখতে পায় না
সে পুরোপুরি অন্ধ সেজে গেছে, তাতে ভিক্ষে বেশি মেলে
তাঁতের কাপড়ের ওপর ছবি আঁকতো যে মানুষটি, একদিন অন্ধকারে
কে যেন ছুরি ঢুকিয়ে দিল তার পেটে
বেঁচে গেছে, এখন কোনো দৃশ্যেই সে রং দেখতে পায় না
কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছে এক কবি, এখন ক্ষমতার রণাঙ্গনে
সে এক যোদ্ধা
ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে হয়, খুবই জমাট ঘুম
সেই ঘুমে বিন্দুমাত্র স্বপ্ন নেই!
সারাক্ষণ সে কষ্ট পায় গন্ধের জন্য
একজন কীর্তন গায়ক এখন সাইকেল রিক্সা চালায়
সংসার খরচ চলে যায়, তার গলা একেবারে বেসুরো
একজন বেতের ঝুড়ি বানাত, বেত এখন দুর্মূল্য
এখন প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করে, তার আঙুলের
গাঁটে গাঁটে ব্যথা
একজন যাত্রার অভিনেতা চোখে ভালো দেখতে পায় না
সে পুরোপুরি অন্ধ সেজে গেছে, তাতে ভিক্ষে বেশি মেলে
তাঁতের কাপড়ের ওপর ছবি আঁকতো যে মানুষটি, একদিন অন্ধকারে
কে যেন ছুরি ঢুকিয়ে দিল তার পেটে
বেঁচে গেছে, এখন কোনো দৃশ্যেই সে রং দেখতে পায় না
কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছে এক কবি, এখন ক্ষমতার রণাঙ্গনে
সে এক যোদ্ধা
ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে হয়, খুবই জমাট ঘুম
সেই ঘুমে বিন্দুমাত্র স্বপ্ন নেই!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন