যানবাহন নেই
নির্মলেন্দু গুণ
কোন দিকে যাবে? দক্ষিণে জল, সমুদ্রে বসে আছি।
উত্তরে পবর্তমালা কণ্ঠে দেবো শেফালি ফুলের–
কোন দিকে যাবে তুমি?
পালাবার পথ নেই, ব্যারিকেড চতুর্দিকেই,
যেন আন্দোলন চলছে প্রত্যহ।
যানবাহন চলবে না, আজকে অফিস নেই,
ভালোবাসা, তোমাকেও নগ্নপদে হেঁটে যেতে হবে।
হাতের তালুর দাগ, রৌদ্রে বালিশের মতো
উল্টে দেবো সব রেলপথ, ইঞ্জিনেও লাগাবো আগুন,
তোমাকে ও অজস্র যাত্রীকে।
আমার চোখের কাছ দিয়ে, আমার বুকের কাছ দিয়ে,
আমার ভালোবাসার ফুটপাত ধরে তোমাকে হাঁটতে হবে।
আজ হরতাল, সমগ্র শহর জুড়ে আজ হরতাল।
গাড়ি-ঘোড়া নেই। ব্যারিকেড চতুর্দিকেই।
আকাশে অনেক ভয়, বাতাসেও নিষ্প্রদীপ আলোর মহড়া।
এরোপ্লেন গুলি করে ভূপাতিত করলে মাটিতে
প্লেনক্রাশে ভেঙে যাবে ডানা, সুন্দর মুখের ছাঁচ,
তোমার দেহের মতো প্রিয়তমা দেশের সীমানা।
কোনোদিকে পথ নেই, এ-পথেই হেঁটে যেতে হবে,
মানুষের কাছে, কলরবে।
আমি বসে আছি, তোমাকে দেখবো বলে বসে থাকি,
কতদিন ধরে বসে আছি, তোমাকে বলবো বলে বসে আছি :
‘আজ হরতাল, আজ ভালোবাসবার শুভদিন’
উত্তরে পবর্তমালা কণ্ঠে দেবো শেফালি ফুলের–
কোন দিকে যাবে তুমি?
পালাবার পথ নেই, ব্যারিকেড চতুর্দিকেই,
যেন আন্দোলন চলছে প্রত্যহ।
যানবাহন চলবে না, আজকে অফিস নেই,
ভালোবাসা, তোমাকেও নগ্নপদে হেঁটে যেতে হবে।
হাতের তালুর দাগ, রৌদ্রে বালিশের মতো
উল্টে দেবো সব রেলপথ, ইঞ্জিনেও লাগাবো আগুন,
তোমাকে ও অজস্র যাত্রীকে।
আমার চোখের কাছ দিয়ে, আমার বুকের কাছ দিয়ে,
আমার ভালোবাসার ফুটপাত ধরে তোমাকে হাঁটতে হবে।
আজ হরতাল, সমগ্র শহর জুড়ে আজ হরতাল।
গাড়ি-ঘোড়া নেই। ব্যারিকেড চতুর্দিকেই।
আকাশে অনেক ভয়, বাতাসেও নিষ্প্রদীপ আলোর মহড়া।
এরোপ্লেন গুলি করে ভূপাতিত করলে মাটিতে
প্লেনক্রাশে ভেঙে যাবে ডানা, সুন্দর মুখের ছাঁচ,
তোমার দেহের মতো প্রিয়তমা দেশের সীমানা।
কোনোদিকে পথ নেই, এ-পথেই হেঁটে যেতে হবে,
মানুষের কাছে, কলরবে।
আমি বসে আছি, তোমাকে দেখবো বলে বসে থাকি,
কতদিন ধরে বসে আছি, তোমাকে বলবো বলে বসে আছি :
‘আজ হরতাল, আজ ভালোবাসবার শুভদিন’
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন