রাষ্ট্র
ইমতিয়াজ মাহমুদ
আদর্শ রাষ্ট্র থেকে কবিদের ঘাড় ধরে বের করে দেয়ার কথা যে, ব্যর্থ কবি প্লেটো
বলেছিলেন তাতে আমি খুশি। পৃথিবীতে ১টা আদর্শ রাষ্ট্র থাকা খুব দরকার। তবে
এথেন্সের ওই লোকটা জানতো না যে আদর্শ রাষ্ট্র তৈরি করার আগে দরকার ১টা
অনাদর্শ রাষ্ট্র। যেমন আলোর আগে তৈরি হয়েছিলো অন্ধকার। জন্মের আগে খোদা
তৈরি করে রেখেছেন মৃত্যু। নতুন এই রাষ্ট্রের কথা শুনে কবিদের খুশি হবার কিছু
নেই। কেননা মন্দ ওই জীবগুলোকে আমরা এমনকি অনাদর্শ রাষ্ট্রেও ঠাঁই দেবো না!
২
অনার্দশ রাষ্ট্রে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য মাথাপিছু সাতশ তেইশটি আইন থাকবে। আর
এর দেখভাল করার জন্য এমন কয়েকজন বিচারক থাকবেন- ন্যায়বিচারের স্বার্থে
যারা যুগপৎ অন্ধ ও বধির হিসেবে নির্মাণ হবেন। এই রাষ্ট্রে প্রত্যেকের নির্বাচনের
সুযোগ থাকবে। কোন জলদস্যু ছদ্মবেশ ধরে যদি- চোর সমিতির নির্বাচন করতে
চায় জনগন তাকে স্বাগত জানাবে। কোন ব্যবসায়ী মরা ইঁদুরকে গরুর দুধ বলে
বিক্রি করলে রাষ্ট্র প্রতিভার মর্যাদা দেবে, যেহেতু তার থাকবে সেবা দেয়ার মতো
এলিট একটি বার্বর সার্ভিস; তারা মানুষকে বিনামূল্যে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। মানুষ
ঘুমাবে আর পাখির ডাকে জেগে উঠবে। অনাদর্শ রাষ্ট্রের জাতীয় পাখি হবে পুলিশ।
৩
পাখিদের গান শুনে শুনে প্রতিটি মানুষ হয়ে উঠবেন হাসপাতাল, হাসপাতাল হবে
বাজার, আর বাজার হবে যুদ্ধক্ষেত্র; ওইখানে কসাইদের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী
আপনি যথাযথভাবে মরতে পারবেন। তবে অনার্দশ রাষ্ট্রে মরতে একটু দেরি হলে
দেখবেন;- আপনার জন্য নির্ধারিত কবরে আগে থেকে ৭২টা লোক ঘুমিয়ে আছে!
বলেছিলেন তাতে আমি খুশি। পৃথিবীতে ১টা আদর্শ রাষ্ট্র থাকা খুব দরকার। তবে
এথেন্সের ওই লোকটা জানতো না যে আদর্শ রাষ্ট্র তৈরি করার আগে দরকার ১টা
অনাদর্শ রাষ্ট্র। যেমন আলোর আগে তৈরি হয়েছিলো অন্ধকার। জন্মের আগে খোদা
তৈরি করে রেখেছেন মৃত্যু। নতুন এই রাষ্ট্রের কথা শুনে কবিদের খুশি হবার কিছু
নেই। কেননা মন্দ ওই জীবগুলোকে আমরা এমনকি অনাদর্শ রাষ্ট্রেও ঠাঁই দেবো না!
২
অনার্দশ রাষ্ট্রে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য মাথাপিছু সাতশ তেইশটি আইন থাকবে। আর
এর দেখভাল করার জন্য এমন কয়েকজন বিচারক থাকবেন- ন্যায়বিচারের স্বার্থে
যারা যুগপৎ অন্ধ ও বধির হিসেবে নির্মাণ হবেন। এই রাষ্ট্রে প্রত্যেকের নির্বাচনের
সুযোগ থাকবে। কোন জলদস্যু ছদ্মবেশ ধরে যদি- চোর সমিতির নির্বাচন করতে
চায় জনগন তাকে স্বাগত জানাবে। কোন ব্যবসায়ী মরা ইঁদুরকে গরুর দুধ বলে
বিক্রি করলে রাষ্ট্র প্রতিভার মর্যাদা দেবে, যেহেতু তার থাকবে সেবা দেয়ার মতো
এলিট একটি বার্বর সার্ভিস; তারা মানুষকে বিনামূল্যে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। মানুষ
ঘুমাবে আর পাখির ডাকে জেগে উঠবে। অনাদর্শ রাষ্ট্রের জাতীয় পাখি হবে পুলিশ।
৩
পাখিদের গান শুনে শুনে প্রতিটি মানুষ হয়ে উঠবেন হাসপাতাল, হাসপাতাল হবে
বাজার, আর বাজার হবে যুদ্ধক্ষেত্র; ওইখানে কসাইদের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী
আপনি যথাযথভাবে মরতে পারবেন। তবে অনার্দশ রাষ্ট্রে মরতে একটু দেরি হলে
দেখবেন;- আপনার জন্য নির্ধারিত কবরে আগে থেকে ৭২টা লোক ঘুমিয়ে আছে!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন