রাহাত আর নিশাতের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও গভীর হতে থাকে। তবে প্রতিটি মুহূর্তে তারা এক নতুন বিপদে পড়ে। নিশাতের অতীতের অন্ধকার তার সামনে এসে দাঁড়ায়, আর রাহাত বুঝতে পারে, তাকে কেবল একটি রহস্য সমাধান করতে হবে না, বরং নিজে থেকেই তার বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
একদিন, নিশাত একটি চিঠি পায়, তবে এটি কোনো সাধারণ চিঠি ছিল না। চিঠিতে লেখা ছিল, “তোমার জীবনের যাত্রা শেষ হওয়ার সময় চলে এসেছে।” নিশাত ভয় পেয়ে যায়। তাকে বোঝা যায়, কোনো এক অজানা শক্তি তার প্রতি নজর রাখছে। রাহাতকে বিষয়টি জানালে সে আশ্বস্ত করতে চাইলেও, নিশাতের ভয়ের কারণ শেষ হয়ে যাচ্ছে না। রাহাত তখন সিদ্ধান্ত নেয়, নিশাতকে নিয়ে শহরের বাইরে চলে যাবে কিছুদিনের জন্য, যাতে তাদের উপর আক্রমণকারী শক্তি কিছুটা দূরে চলে যায়।
তবে, নিশাত জানত, এভাবে পালিয়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান নয়। তার অতীতের সাথে যে অন্ধকার জড়িত, তা সে কখনোই মুছে ফেলতে পারবে না। তাকে সোজা পথে দাঁড়িয়ে, তার শত্রুদের মুখোমুখি হতে হবে। সে জানত, রাহাতের সাহায্য ছাড়া এই পথ তিনি একা পাড়ি দিতে পারবেন না।
রাহাতের চোখে নিশাতের প্রতি প্রেম ছিল, কিন্তু তার ভিতরও একটা দ্বিধা ছিল। সে জানত, নিশাতের জীবনের অতীত যে রহস্যের মধ্যে ঢাকা, তা কখনো না কখনো বেরিয়ে আসবে। আর তখনই তাকে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। রাহাত একদিন নিশাতকে বলল, “যতটুকু সময় আমরা একে অপরকে জানলাম, ততটুকু সময় তোমাকে শুধু ভালোবাসার কথা ভাবিনি। আমি জানি, তোমার জীবনটা কিছুটা জটিল। তবে আমি তোমার পাশে আছি, যতদিন না তোমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না যাচ্ছে।”
তবে, তাদের সম্পর্কের তৃতীয় অধ্যায় শুরু হলো এক ভয়ানক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পর। নিশাত একদিন আবিষ্কার করে, তার অতীতের এক প্রিয় মানুষ ছিল, যে তাকে এই পথে টেনে আনে। তবে সেই মানুষটিও এক রহস্যময় খুনের শিকার হয়েছে, এবং সেই খুনের তদন্তের সাথে নিশাতের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। অতীতের সেই খুনির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিশাত আর রাহাতকে এক হতে হবে, এবং এই যাত্রায় তারা জানবে, শুধু ভালোবাসা নয়, তাদের সৎ উদ্দেশ্য ও সাহসও এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে।
(চলবে…)
তোমার ছোঁয়ায় বেঁচে থাকি ২


০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৬৬
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন