আতসিকে যে সফটওয়্যারটা বানাতে হবে তা দিয়ে যে এক ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালানো হবে সে কথা আতসির কাছে সঙ্গতকারণেই অজ্ঞাত রয়ে গেলো।এন রায় আতসিকে বুঝানোর সুবিধার্থে টেবিলের উপর মাটির ১ টি লাল ঘোড়া ও ১ টি সাদা ঘোড়া আর মাটির একটি মানুষ রেখে বললেন- এই ৩টি উপকরণ কেন্দ্র করেই তোমাকে কাজ করতে হবে।
তারপর এন রায় আরো কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে আতসিকে সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দিলেন। কাজ বুঝে নিয়ে আতসি চলে গেলো।এন রায়ের নিজেকে অনেকটা হালকা লাগছে।সুজয়াকে ডাকলেন।সুজয়া যে মেয়েটিকে পাঠালো তার নাম নারিনা।ওকে ডাকা হয় নায়লা ৩৪। কারণ ওর অন্তর্বাস ৩৪।এন রায়ের কাজকাম জেন্টের মতন নয়।এন রায় নায়লাকে নিয়ে চলে গেলো সমুদ্র সৈকতে।যে হোটেলে উঠলো হোটেলটির নাম বিচ-34.নায়লার সংগে হোটেলটির নামে মিল পাওয়া যাচ্ছে। হোটেলও রসিক বটে।এন রায় নায়লাকে বললো- হোটেলটা তোমার মতোই উর্বর মনে হচ্ছে।কি বলো,নায়লা?
নায়লা বললো- হুজুরের মতে অমত কার!
নায়লার কথাটা এন রায়ের পছন্দ হলো।এন রায় হো হো করে হেসে উঠলো।
হোটেলে একদিন কাটিয়ে নায়লাকে একা চলে আসতে হয়েছিলো।নায়লাকে যেভাবে বলা হয়েছিলো নায়লা ঠিক সেইভাবেই গভীর রাতে যখন খুব টাল হয়ে আছে এন রায়,তখন এন রায়কে নিয়ে সৈকতে নেমে জলকেলির এক আচ্ছন্ন পর্যায়ে এন রায়ের হাত ছেড়ে দিলো।এন রায়ের মস্তিষ্কে তখন পয়জন কাজ করতে শুরু করেছে যে পয়জন ২৩ মিনিট পূর্বে হোটেলের কক্ষে নায়লা মিশিয়ে দিয়েছিলো এন রায়-এর জলের গ্লাসে।এন রায় ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে অথই জলের গর্ভে -গভীরে।এন রায়ের এই অন্তিম দৃশ্যটি দেখবার কোনো ইচ্ছে বা প্রয়োজন নায়লার নেই।বিকিনি পরা অবস্থায় নায়লা হোটেলে এসে ব্যাগ গুছিয়ে তখনি রওনা হয়ে গেলো সুজয়ার উদ্দেশে।সুজয়া চেক রেডি করেই রেখেছিলো।নায়লা অবাক হলো যখন সে দেখলো সুজয়া তাকে একটি নয়,দুইটি চেক দিয়েছে।কিছু বুঝতে না পেরে নায়লা সুজয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।সুজয়া বললো- এটা তোমাকে এডভান্স করা হলো।নেক্সট প্রজেক্টের জন্য বুকিং দিয়ে রাখা হলো।
নায়লা স্মিথ হেসে বিদায় নিলো।সুজয়া লক্ষ্য করলো- নায়লার হাসিটাও ওর অন্তর্বাসের মতোই বড্ড সেক্সি।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন