ভোর পাঁচটায়,
আলো তখনো ঘুমিয়ে ছিল রাতের কোল ঘেঁষে,
আমি জানালার গা বেয়ে উঠেছিলাম
এক গোপন জোছনার মতো।
তুমি ছিলে রেশমে মোড়া এক স্বপ্নের রূপরেখা—
চোখ বন্ধ, নিঃশ্বাসে পাখির ডানা মেলে থাকা নিস্তব্ধতা।
আমি ছুঁয়ে দিলাম তোমাকে—
যেমন অচেনা দ্বীপে প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে,
তুমি ফিরিয়ে দিলে এক চুম্বন—
মেঘপাড়ায় জমে থাকা বিজলির উত্তরে
একটি নরম আলোকছায়া।
সে চুম্বন ছিল না ঠোঁটের খেলা,
ছিল এক লতা, দু’পাশ থেকে জড়িয়ে ধরা—
যেমন কুয়াশার হাতে জড়িয়ে থাকে সকালের মাঠ।
তুমি যখন ছুঁয়েছিলে আমাকে,
আমার কাঁধে ফুটে উঠেছিল নীল শাপলার ছায়া—
এমন এক ফুল, যা কেবল ঘুমন্ত হৃদয়ে ফোটে।
আমরা বলিনি কিছুই,
তবু ভাষা তৈরি হয়েছিল—
সেই মুহূর্তে আকাশে একটানা পাখি ওড়ে
আর সে পাখি জানে,
চুম্বন কেবল অনুভব নয়—
এ যেন দু’টি নক্ষত্রের অদৃশ্য সংঘর্ষে জন্ম নেওয়া এক অনুচ্চার্য আলো।
০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন