রুদ্ধ এক খাঁচায় বসি, দেখি শুধু পশুদের মেলা,
আঁধার ফুঁড়ে উঠলো যেন, নরকের দ্বার খোলা।
এতদিন ছিল লুকিয়ে, গর্তের গভীরেতে তারা,
হঠাৎ যেন জাগলো সব, হিংস্র থাবা বাড়া।
এই বদ্বীপের মাটি চায়, শুধু তাদের অধিকার,
ভিন্ন মতের মানুষ যেন, পরবাসী অসহায় আর।
ধর্মের নামে উন্মাদনা, বিভেদের বিষ ছড়ায়,
মানুষ মারে, ঘর পোড়ায়, উল্লাসে গান গায়।
যেন এক ভূতের নগরী, রূপকথার সেই দেশে,
মানুষ নয়, পশুর দল, রাজত্ব করে হেসে।
তাদের হাতে রক্তমাখা, ক্ষমতার দম্ভ ভরা,
ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, সব যেন আজ মরা।
আমি দেখি, খাঁচার ভেতর, এক অদ্ভুত আলোড়ন,
যেন এক বাসর ঘর, প্রেতের সিংহাসন।
বেহুলার কান্না শুনি, লখিন্দরের আর্তনাদ,
সাপের ফণা উঠছে জেগে, যেন এক বিষাদ।
আমি বলি, “শোনো বেহুলা, এ বাসর নয় তো সুখের,
এ তো এক নরককুণ্ড, যেখানে মৃত্যু দুখের।”
এই পশুদের রাজ্যে, ভালোবাসা আজ অসহায়,
সত্য কথা বললেই, মৃত্যু এসে দাঁড়ায়।
তাই চুপ করে থাকি আমি, দেখি শুধু পশুদের খেলা,
এই বদ্বীপের আকাশে, আজ শুধু আঁধার মেলা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন