মধ্যযুগের আঁধার দেখিনি কখনো, তা নিয়ে খেদ নেই।
আমার নিজের দেশে, এই বাংলার বুকে,
আজ যে কুঁড়েঘরের চালের ফুটো দিয়ে আকাশ দেখা যায় না,
যেখানে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেও চিনতে পারি না,
সেই ঘোর অন্ধকারে ডুবছি আমি, সরষের মতো।
একসময় আকাশে ওড়ে অসংখ্য ঘুড়ি, রঙের মেলা,
আজ দেখি কঙ্কালসার নদী শুকিয়ে কাঠ, তার বুকে হাহাকার।
প্রেমিক-প্রেমিকা কাঁদে না আর ফুটপাতে, প্রেম তো আজ পণ্য!
বাবার পকেট থেকে চুরি করা দশটা টাকা দিয়েও
আজ আর একটাও সত্যিকারের স্বপ্ন কেনা যায় না।
খুব শীতের বাতাস বইছে, পাতা ওড়ে আর জল পড়ে,
ঘণ্টাখানেকের জন্য হলেও রাজা হতে চাইনি আমি,
শুধু চেয়েছিলাম একটি সাধারণ দুপুর, যেখানে মানুষের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
আজ চারপাশে শুধু সভ্যতার ইঁদুর দৌড়,
আর মরে যাওয়া রোদ এসে পড়ে কাচে,
যেন ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলে দিনরাত।
গণতন্ত্রের পোশাকে ঢেকে আছে লোভের বিরাট থাবা,
যেখানে প্রতিটি বাড়ির ছাদ মেঘের কাছাকাছি পৌঁছোয় না,
আর নুনভাত খেয়ে দিন কাটানো মানুষগুলো
বুকের ভেতর জলহস্তীর মতো অভিমান পুষে রাখে।
সেই আদিম মধ্যযুগের অন্ধকার ফিরে এসেছে আজ,
আমার এই জন্মেই, এই আধুনিকতার আড়ালে!
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন