ক্ষমতার লোভ, সব থেকে বড় লোভ,
তার চেয়েও বড় লোভ, তা অপব্যবহারের লোভ।।
অন্যায়, অত্যাচার? সে-তো মঞ্চে আসে না,
সে থাকে নীরবে,
বসে থাকে বুকের মধ্যেকার কোনো খুঁদে ঘরে।

আমরাই তাকে পুষি—
দিনের পর দিন,
নির্বাক থেকে, অন্যায় দেখে, মুখ ফিরিয়ে রেখে,
একটা চায়ের আড্ডায় বলা যায়—
“কাজ নেই ভাই, এসব রাজনীতি!”

অথচ ঠিকই সেই রাজনীতি—
মারছে সোহাগকে,
পাথর তুলে বুকে আঘাত,
ইট ছুড়ে থেতলায় মুখ,
নাপিতের নির্বাক বার্তা।

আসলে মানুষ নিজেরাই জানে না,
মানুষ কতটা বজ্জাত হতে পারে।
একটা পোষা দুর্বৃত্তের মতোই,
ভেতরের হিংসা পুষে রাখা হয়।
চেয়ারের নিচে, চাকরির আশায়,
ভোটের আশায়,
নিজেকে না জড়ানোর নিশ্চিন্ত অভ্যেসে।

স্বৈরাচার এক ব্যক্তি নয়—
তা কেবল একটি নীরবতা,
যেটা জন্ম নেয় যখন তুমি বলো—
” আমারতো কিচ্ছু হয়নি,
আমিতো দিব্যি বেঁচে আছি!”

তবে জেনে রাখো,
তুমিই জন্ম দিয়েছো তাকে—
নিজের নিশ্চুপ অনুমতিপত্র দিয়ে,
তুমি অন্যায় থেকে মুখ ফিরেছো,
তুমি সত্যকে এড়িয়ে চলে গেছো বহুদূর।

সেখানে মৃত মানুষ পড়ে থাকে,
আর বেঁচে থাকা মৃতদের ভিড়ে
হারিয়ে যায় তার স্বপ্নের গল্প।

তবে একদিন আমরাও হবো
খবরের কাটিং স্লটের নিউজ,
কারণ আমরা নিজের ভেতরের
স্বৈরাচারটাকে কখনো জিজ্ঞেস করিনি—
“তুমি কে?”

৫৯
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন