আস্তিনে যার স্বেদ মুছে হায় জীবন চলার জানে মানে,
এসির আলয় রইলে পড়ে জীবন্ত সুখ কিনতে জানে।
স্বেদের ভেতর আছে তারি পরিচয় আজ প্রাণের সুরে,
মোকাম তাহার রয়েছে ঢের নয় দুনিয়ায় বেহেস্ত পুরে।
হালাল করে খাচ্ছে সকল রুচির বাহার আয়োজনে,
কেউ কি জানে কোনটা আসল কোনটা পুনঃ মেকি রণে।
এই পৃথিবীর রণ ছেড়েছে কেমন করেই ছাড়বে তাহা,
প্রাণের কসুর প্রাণে মিলে বলছে লোকে মিথ্যা ঠাহা।
নিজের স্বার্থে পোড়ায় মানুষ স্বেদের বুকে জমা ধুলো,
বুড়ো আঙ্গুল দেখায় যে প্রাণ গাজর ছেঁড়ে দেখায় মুলো।
গরীব লোকের রুচিতে আজ বাধেনা যে কোন কিছু,
প্রাণের দায়ে আস্তাকুড়ের পাশে ছোটে জীবন পিছু।
ঠাণ্ডা হাওয়ার মাতন শুনি বড়লোকের ঘরে নিতি,
খাদ্য অপচয়ের বাহার রুচির দিকে আছে ক্ষিতি।
ওদিকে ভাই আস্তিনে স্বেদ মুছে মুছে করলো কালো,
প্রাণের দায়ে সকল মানুষ চিনলো শুধু আত্ম ভালো।
জিহ্বাতে যার স্বাদের খেলা সাধের অতীত প্রাণটা উড়ো,
তার কাছে নাই টাকা কড়ি মানুষ বলে কাদায় ছুড়ো।
এমন চলার আছে মানে দম যদি তার যায় ছুটে আর,
চারিদিকের অকূলপাথার দেখায় তাদের শুধু আঁধার।
বার্গারে কি পিজ্জাতে মন পড়ে আছে পথো শিশুর,
স্বচ্ছ কাঁচের উপার থেকে বড়লোকের খাদ্য পিছুর।
চোখের ভাষায় বোবা শিশুর ক্রন্দনে যে প্রাণের ভেলা,
রেস্তোরাঁতেই বসে আছে সকল শিশুর প্রাণের খেলা।
আর দিকে সব ধনীর বুকে সব পেয়ে যে আরো চেয়ে,
নিচ্ছে কেড়ে আত্ম রুচির অহংকারেই ছুটছে ধেয়ে।
স্বেদের বুকে স্বেদ জমেছে গরীব লোকের মূল্য কোথা,
প্রাণের দায়ে ছুটছে নদী শুকিয়ে গেলে না রয় হোথা।
অন্য দিকে স্বেদ আসেনা বিরাট শিশুর এসির ঘরে,
সকল শিশুর রুচি জাগে খাইতে পিজ্জা প্রাণের পরে।
আর যদি তা বলতে চেয়ে সীমার মাঝে পুলক খুঁজে,
কবির জীবন ব্যথায় ভরা রুচির দামে প্রণয় বুঝে।
সবার রুচির বাহারি রূপ দেখে কবির জাগে রুচি,
মহামানুষ নয় সে কবি করবে সকল কাজকে শুচি।
পদের লোভে করছে যারাই সমাজটাকে ছিন্ন তানে,
প্রাণের দামে সবাই কেবল নিজের স্বার্থ নিতে জানে।
লালসা যার আপন খোরাক তারে মানুষ বলতে দ্বিধা,
রুচির অভাব রইলে স্বভাব বদলে যাবে নিমেষ সিধা।
ভালো রুচির গানে কেবল মন রটে যায় নিত্য খবর,
প্রাণের সকল রুচির খেলায় দেখে কবি আত্ম কবর।
রুচির মাঝেই লুকিয়ে আছে সুপ্ত হয়ে সেই সে মণি,
মানুষ এবার উঠরে জেগে দেখতে প্রাণের সোনার খনি।

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৭৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন