প্রথম প্রেমিকা ছিলো আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি,
হঠাৎ এসে নোনা ধুলো ধুয়ে দিয়েছিলো,
তারপর বজ্রের শব্দে ফেলে গিয়েছিলো একা,
কাদাজলে ডুবে থাকা আমার ছায়া—
যেখানে আমি আর আমি ছাড়া কেউ ছিলো না।

দ্বিতীয় প্রেমিকা এল শরতের মতো,
স্বচ্ছ নীল আকাশে হাসি মেখে,
সাদা মেঘে জড়ানো স্বপ্ন উপহার দিলো;
কিন্তু তার ডানা ছিলো এত হালকা
যে, আমি কাছে যেতেই
সে উড়ে গেলো দিগন্তের ওপারে—
আমাকে রেখে গোধূলির নিরাবতায়।

তৃতীয় প্রেমিকা ছিলো শীতের আগুন,
তার স্পর্শে হাত উষ্ণ হতো, চোখে আলো ফুটতো;
কিন্তু ধীরে ধীরে আমি বুঝলাম,
সে আমার বুকের ভিতর আগুন ধরিয়ে দিয়েছে—
যা আমার গান, আমার কবিতা, আমার চিঠি
সব পুড়িয়ে ফেলেছে ছাই হয়ে।

তারপর তুমি এলে—
চতুর্থ প্রেমিকা,
যেন দেরি করে আসা চৈত্রের ফুল,
যার গন্ধে মনে হয়
শীত, বৃষ্টি, শরৎ—সব কেবল তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলো।
তুমি আমার দুঃখে নরম রোদ,
আমার ভাঙা ঘরে শ্যাওলা ধরা জানালার পাশে
এক ফালি সবুজ।

তবুও আমি জানি—
প্রেমের ইতিহাসে তোমার নামও
হয়তো একদিন শুধু একটি অধ্যায় হবে,
আমার দিনলিপির চার নম্বর পাতায়
লিখে থাকা একটি গল্প,
যা আমি হাজারবার পড়বো,
কিন্তু একবারও আর লিখতে পারবো না।

৫০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন