অদৃশ্য স্পর্শ
অদৃশ্য স্পর্শ
মানব মন্ডল

গল্প - অদৃশ্য স্পর্শ

মানব মন্ডল
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভালোবাসা, ভৌতিক

তৃনার, চোখ খুলে  দেখলো কেউ একজন তৃনার ওপর ঝুকে আছে ।  হৃৎস্পন্দনের হার  বেড়ে গেল। চিৎকার দিতে যাবে এমন সময় তৃনার ওপর ঝুকে পড়া ব্যক্তি হাত দিয়ে তৃষার মুখ চেপে ধরে ফিসফিস করে  বললো,– আরে আমি, তুমি চিৎকার করছো কেন? নিজের প্রেমিকাকে চিনতে পারছো না?

নাইটলাইটের মায়াবী আলোয় চোখ বড়ো বড়ো করে ঝুকে পড়া ব্যক্তির চেহারা দেখে তৃনা  বুঝতে পারলো ও তার সবচেয়ে কাছের মানুষ।

তৃনা নেশাতুর কন্ঠে  বললো,– রজত তুমি! এত রাতে আমার ঘরে  এলে কেন এলে?
রজত ওকে আরো কাছে টেনে বললো,–  তোমার কাছে আসবো না তো ,কার কাছে যাবো?

: রজত তাই বলে এতো রাতে।

: কেন কি হবে ?

: না ! বিয়ের আগে এতটা কাছাকাছি আসা ঠিক নয়! রজত

: মনতো তোমাকে পেতে ব্যাকুল তৃণা ।

: তাই বলে তুমি , এভাবে হোস্টলে চলে আসবে তুমি রাতের বেলায় ।

: তৃনা, তুমিই তো আমার, জানি  বিয়ের জন্য  আর কয়েক টা মাস বাকি, বিয়ের জন্য  আর অপেক্ষা করতে পারছিনা আর।

: তাই বলে বিয়ের আগে এসব উচিত  নয়।
না, একদম এসব  দুষ্টুমি  করবে বলে দিচ্ছি  রজত।

তৃনার কথা শেষ হবার আগেই ওর  ঠোঁট ঝাপিয়ে তৃনার  ঠোঁটে কে জরিয়ে ধরলো, কিছুক্ষণ ওকে  সরিয়ে দেবার চেষ্টা করেও ,  নিজের গোপন ইচ্ছার কাছে হার মানে তৃনাও ধরা দিলো ওর কাছে। জীবনের  প্রথম একান্তে কারো স্পর্শে নিজের হারিয়ে ফেলো তৃনা।  অন্যরকম এক ভালোলাগায় আজ তৃষার দেহ মনে, অজানা এক উত্তেজনায় পুরো শরীরটা । কিছু পাবার আশায় আত্মসমর্পণ করলো তৃনা এক অজানা ভালোলাগার বশে রজতের স্পর্শ  পেতে তৃনার দেহমন ব্যাকুল হয়ে উঠলো।

তৃনাও শক্ত করে রজতকে জড়িয়ে ধরে   সবটুকু মুহূর্ত  উপভোগ করতে থাকলো।শরীরের বিভিন্ন স্থানে ওর  হাতের আর ঠোঁট এর স্পর্শ অজানা অচেনা এক আনন্দের ঢেউএ ভাসিয়ে, তৃনা কে  পাগল করে দিলো।
ধীরে ধীরে তৃনার শরীর পোশাক খুলে ফেললোও। তৃনা আর বাধা দেবার মতো অবস্থায় নেই, আজ নিষেধ এর সব সীমারেখা অতিক্রম করতে রাজি ও। আজ এত ভালো লাগছে, যা করছে করুক না! তৃনা নিজেকে  ধরে উজাড় করে দিলো ওর কাছে। তৃনার ইচ্ছায় , অনিচ্ছাকে না তোয়াক্কা না করে কয়েকবার  মেলামেশা করলো  ও । ক্লান্ত দেহ নিয়ে তৃণা ঘুমিয়ে পড়লো।
ঘুম ভাঙলো দেরীতে আজ তৃনার, উঠে বসতে যাবে ,শরীরে খুব ব্যাথা অনুভব করলো। কালরাতে তাহলে ও স্বপ্ন দেখেনি? তৃনা পাশে থাকা জামাকাপড় টেনে গায়ে দিয়ে কোনমতে উঠে বসে । দরজার দিকে চোখ পড়তেই ভীষণ চমকে গেল তৃনা, দরজার ছিটকিনি তো ভেতর থেকেই দেয়া আছে, তাহলে রজত কিভাবে এলো এ ঘরে?তাহলে এসব কীকরে সম্ভব?
হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। কান্না ভেঙে পরলো তৃণা। রজত কাল রাতে পথ দূর্ঘটনায় মারা গেছে।

পরে পড়বো
৬৯
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন