হাশরের ময়দানের সেই অনন্ত ভিড়ে
সব শব্দ স্তব্ধ হয়ে গেলে,
মানুষ থরথর কাঁপলে—
আমি তখনো তোমার চোখে খুঁজে নেবো
সৃষ্টির প্রথম আলোর ঝলক,
যেন সমগ্র মহাবিশ্ব
তোমার দৃষ্টির দু’টি আয়নায়
নরম নীরবতায় ঘুরছে।

ফুলসেরাতের ধারালো সেতুটি
যখন আগুনের মতো কাঁপবে,
মানুষ ভয় আর চিৎকারে
নিজেদেরই ভুলে যাবে—
আমি ঠিক তখন তোমার হাত ধরে বলবো,
“চলো…
আজ ভয়কে আমিই বহন করি,
তুমি শুধু আমায় অনুসরণ করো।”
আর আমরা দু’জনে
জান্নাতের বাগিচার শান্ত বাতাসে
পা রাখবো প্রথমবারের মতো।

সেই বাগানের রেশমি আলোয়
আমি দেখবো দূরে তারা
যারা হিংসা, বিদ্বেষে নিজেদের
হৃদয় কালো করেছে—
আজ তারা কেমন আছে?
ক্ষমতার নেশায় যারা
মানুষকে ভেঙেছে প্রতিদিন—
আজ তাদের অহংকার
কত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে আছে?

তুমি তখন ধীরে
আমার আঙুল ছুঁয়ে বলবে—
ভালোবাসি!
আর আমরা এক পড়ন্ত বিকেলে
ঈশ্বরের প্রিয় মানুষটির পবিত্র চোখের
সামনে বসে শুনবো মেরাজের গল্প—
যেখানে আকাশের স্তর ভেঙে
এক নিশ্বাসে তিনি পৌঁছে ছিলেন
আরশের দোলায়।

সেদিনও
তোমার হাতে রেখে হাত
নিঃশব্দে বলবো
“আমাদের প্রেম অনন্ত গহীন,
যা কেয়ামতের বিভিষিকাকে হারিয়ে
হিংসা বিদ্বেষ ছাড়িয়ে
মানুষের জয় গান গায়,
আরশের ছায়ায় বরং আরও,
আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠে মানুষের আর মানবতার জয় পতাকা।
……. ……

পরে পড়বো
১৪
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন