কখনো মনে হয় তুমি ধানখেতে ঢেউ, তারই সুগন্ধে গভীর তোমার উদাত্ত-অনুদাত্তে বাঁধা দেহ, প্রসারিত, হিল্লোলিত
আমি ডুবে যাই নিবিড়ে নিমগ্ন বৃষ্টিরেণুর মতো, শিউরে ওঠে সমস্ত পর্ণকণা
জীবনের রোমাঞ্চে, ধূপের ধোঁয়ার মতো মাটির শরীর জাগে কুণ্ডলিত কুয়াশায়
তারই কেন্দ্রে তুমি, তুমি প্রসারিত, হিল্লোলিত, প্রসারিত।
আজ মনে হয় কী ক্ষমাহীন রাতগুলি বেঁধেছিল আমায়। বাইরে তার সজল মেঘাবরণ, দেখে ভুললে, ভুলে কামনার দুই ঠোঁটে টেনে নিলে বুকের উপর বারে-বারে, ঘুলিয়ে উঠল অন্তরাত্মা
কিন্তু কাছে এসে দেখলে, হায়, এ কী ভগ্নকরুণ অবনত দয়িত আমার। এই কি সে দিব্যসজল মুখশ্রীর যৌবন যাকে আমি মগ্ন আকাশের অসংখ্য তারার মতো চুম্বনকণিকায় ভরে দিতে পারতুম, হায়
ব’লে উদবেল হলো করুণা তোমার দুই বুকে, যুগল নিশ্বাস প্রবাহিত হলো ধানখেতের উপর তোমারই সংহত শরীরের মতো, দূরে
আর তার নিপীড়ন দেহ ভরে আস্বাদ করে আস্তে-আস্তে উন্মোচিত হতে থাকে আমার সমস্ত অন্ধকার, সমস্ত অন্ধকার!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন