‘কিছুই যা বোঝা যায় না তার সঙ্গে বোঝাপড়া ক’রে
আমার সুলগ্নে এসো। এর কোনো কণামাত্র কমে
আমাকে পাবে না তুমি। আমি এ ঘুমের প্রান্ত ছুঁয়ে
সেই কোন্ আদিমধ্য কাল থেকে পড়ে আছে একা–
এক লহমায় আজ সে কি এত মিথ্যে হতে পারে?
আমার হৃদয় আজও নভকণিকার আলো থেকে
তোমাকে সৌরভ দেয়- দিতে পারে- যদি তুমি জানো
আমার শরীরে এসে লগ্ন হতে একাকার জলে।
কিন্তু এই অবেলায় তোমার মুখের দিকে চেয়ে
আজ আমার মনে হয় তুমি ভুলে গেছ সেই টান
তোমার বুকের কাছে কোথাও এ আউশের ধান
রাখে না পীতাভ ছোঁয়া। তবে কি তর্পণ হাতে নিয়ে
নিজেরই দক্ষিণ দ্বারে হাঁটু মুড়ে বসে আছো শুধু?
আমি কেন আছি তবে? আমি তবে বেঁচে আছি কেন?’
–এই কথা বলেই সে আমার পাথরে চাপা ধ্যানও
ভেঙে দিয়ে চলে গেল পরিখার ওপারে ত্বরিতে–
আমার নিস্তার আমি তখনই পেরেছি তাকে দিতে।
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১০৮ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন