‘…জানি–তবু জানি
নারীর হৃদয়–প্রেম–শিশু–গৃহ–নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়–
আরও এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত–ক্লান্ত করে;
লাশকাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই;
তাই লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ‘পরে।…’
‘আট বছর আগের একদিন’, মহাপৃথিবী
–জীবনানন্দ দাশ
জাইগা থাকাই ফাঁকি–
একটা ঘুম থেইকা উইঠা
আরেকটা ঘুমের ভিতর দিয়া
অনেক ঘুমের দিকে যাই;
যাইতে থাকি–
জীবনানন্দের দেখা পাই; পাইতে থাকি,
‘আট বছর আগের একদিন’ নিয়া কথা বলি,
বলতে থাকি, বলতেই থাকি…
… ক্লান্তির পর–
কোনো-একটা শালিক বলে, ‘শেষ প্রশ্নটা কর’–
আমি: ‘ট্রামটা কখন আসবে দাদা?’
জীবনানন্দ: ‘[অনেকক্ষণ চুপচাপ, তারপর]
‘সোনালি খড়ের ভারে অলস গোরুর গাড়ি–বিকেলের রোদ পড়ে আসে…।’
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন