অন্তরিন
তসলিমা নাসরিন
কখনও কোনওদিন যদি অন্তরিন হতে হয় তোমাকে,
যদি শেকল পরায় কেউ পায়ে, আমাকে মনে কোরো।
যদি কোনওদিন যে ঘরটিতে তুমি আছো
সে ঘরের দরজা ভেতর থেকে নয়,
বাইরে থেকে বন্ধ করে কেউ চলে যায়, মনে কোরো।
সারা তল্লাটে কেউ নেই তোমার শব্দ শোনে,
মুখ বাধা, ঠোঁটে শক্ত সেলাই।
কথা বলতে চাইছে, কিন্তু পারছে না।
অথবা কথা বলছে, কেউ শুনতে পাচ্ছে না,
অথবা শুনছে, শুনেও গা করছে না,
মনে কোরো।
তুমি যেমন খুব চাইবে কেউ দরজাটা খুলে দিক,
তোমার শেকল সেলাই সব খুলে দিক,
আমিও তেমন চেয়েছিলাম,
মাস পেরোলেও কেউ এ পথ মাড়ায়নি,
দরজা খুলে দিলে আবার কী হয় না হয় ভেবে খোলেনি কেউ।
মনে কোরো।
তোমার যখন খুব কষ্ট হবে, মনে কোরো আমারও হয়েছিলো,
খুব ভয়ে ভয়ে সাবধানে মেপে মেপে জীবন চললেও
আচমকা অন্তরিন হয়ে যেতে পারে যে কেউ, তুমিও।
তখন তুমি আমি সব একাকার, দুজনে এক সুতো তফাৎ নেই,
তুমিও আমার মতো, তুমিও অপেক্ষা করো মানুষের,
অন্ধকার কেঁপে আসে, মানুষ আসেনা।
যদি শেকল পরায় কেউ পায়ে, আমাকে মনে কোরো।
যদি কোনওদিন যে ঘরটিতে তুমি আছো
সে ঘরের দরজা ভেতর থেকে নয়,
বাইরে থেকে বন্ধ করে কেউ চলে যায়, মনে কোরো।
সারা তল্লাটে কেউ নেই তোমার শব্দ শোনে,
মুখ বাধা, ঠোঁটে শক্ত সেলাই।
কথা বলতে চাইছে, কিন্তু পারছে না।
অথবা কথা বলছে, কেউ শুনতে পাচ্ছে না,
অথবা শুনছে, শুনেও গা করছে না,
মনে কোরো।
তুমি যেমন খুব চাইবে কেউ দরজাটা খুলে দিক,
তোমার শেকল সেলাই সব খুলে দিক,
আমিও তেমন চেয়েছিলাম,
মাস পেরোলেও কেউ এ পথ মাড়ায়নি,
দরজা খুলে দিলে আবার কী হয় না হয় ভেবে খোলেনি কেউ।
মনে কোরো।
তোমার যখন খুব কষ্ট হবে, মনে কোরো আমারও হয়েছিলো,
খুব ভয়ে ভয়ে সাবধানে মেপে মেপে জীবন চললেও
আচমকা অন্তরিন হয়ে যেতে পারে যে কেউ, তুমিও।
তখন তুমি আমি সব একাকার, দুজনে এক সুতো তফাৎ নেই,
তুমিও আমার মতো, তুমিও অপেক্ষা করো মানুষের,
অন্ধকার কেঁপে আসে, মানুষ আসেনা।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন