ভারতবর্ষ
তসলিমা নাসরিন
(সুমিত চক্রবর্তী শ্রদ্ধাভাজনেষু)
ভারতবর্ষ শুধু ভারতবর্ষ নয়, আমার জন্মের আগে থেকেই
ভারতবর্ষ আমার ইতিহাস।
বিরোধ আর বিদ্বেষের ছুরিতে দ্বিখণ্ডিত হওয়া, ভয়াবহ ভাঙন বুকে নিয়ে
উর্ধ্বশ্বাস ছোটা অনিশ্চিত সম্ভাবনার দিকে আমার ইতিহাস।
রক্তাক্ত হওয়া ইতিহাস, মৃত্যু ইতিহাস।
এই ভারতবর্ষ আমাকে ভাষা দিয়েছে,
আমাকে সমৃদ্ধ করেছে সংস্কৃতিতে
শক্তিময়ী করেছে স্বপ্নে।
এই ভারতবর্ষ এখন ইচ্ছে করলেই কেড়ে নিতে পারে
সব ইতিহাস, আমার জীবন থেকে আমার অস্বিত্ব,
আমার স্বপ্ন থেকে আমার স্বদেশ।
নিঃশেষ করতে চাইছে বলে আমি আজ নিঃস্ব হব কেন?
ভারতবর্ষ তো জন্ম দিয়েছে মহাত্মাদের।
আজ তারা হাত রাখছেন আমার ক্লান্ত কাঁধে,
এই অসহায়, এই অনাথ, এই অনাকাঙ্খিত কাঁধে।
দেশের চেয়েও দীর্ঘ এই হাত, দেশকাল ছাপিয়ে এই হাত আমাকে
জাগতিক সব নিষ্ঠুরতা থেকে বড় মমতায় নিরাপত্তা দেয়।
মদনজিৎ সিং, মহাশ্বেতা দেবী, মুকুন্দ দুবে—তাঁদেরই আমি
দেশ বলে আজ ডাকি,
তাঁদের হৃদয়ই আজ আমার সত্যিকার স্বদেশ।
ভারতবর্ষ শুধু ভারতবর্ষ নয়, আমার জন্মের আগে থেকেই
ভারতবর্ষ আমার ইতিহাস।
বিরোধ আর বিদ্বেষের ছুরিতে দ্বিখণ্ডিত হওয়া, ভয়াবহ ভাঙন বুকে নিয়ে
উর্ধ্বশ্বাস ছোটা অনিশ্চিত সম্ভাবনার দিকে আমার ইতিহাস।
রক্তাক্ত হওয়া ইতিহাস, মৃত্যু ইতিহাস।
এই ভারতবর্ষ আমাকে ভাষা দিয়েছে,
আমাকে সমৃদ্ধ করেছে সংস্কৃতিতে
শক্তিময়ী করেছে স্বপ্নে।
এই ভারতবর্ষ এখন ইচ্ছে করলেই কেড়ে নিতে পারে
সব ইতিহাস, আমার জীবন থেকে আমার অস্বিত্ব,
আমার স্বপ্ন থেকে আমার স্বদেশ।
নিঃশেষ করতে চাইছে বলে আমি আজ নিঃস্ব হব কেন?
ভারতবর্ষ তো জন্ম দিয়েছে মহাত্মাদের।
আজ তারা হাত রাখছেন আমার ক্লান্ত কাঁধে,
এই অসহায়, এই অনাথ, এই অনাকাঙ্খিত কাঁধে।
দেশের চেয়েও দীর্ঘ এই হাত, দেশকাল ছাপিয়ে এই হাত আমাকে
জাগতিক সব নিষ্ঠুরতা থেকে বড় মমতায় নিরাপত্তা দেয়।
মদনজিৎ সিং, মহাশ্বেতা দেবী, মুকুন্দ দুবে—তাঁদেরই আমি
দেশ বলে আজ ডাকি,
তাঁদের হৃদয়ই আজ আমার সত্যিকার স্বদেশ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৯৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন