নিষিদ্ধ বস্তু
তসলিমা নাসরিন
আমি তো মানুষ ছিলাম, সমাজ সংসার ছিল, স্বপ্ন ছিল,
বারান্দার ফুলগাছ, বাজার হাট, বিকেলবেলার থিয়েটার,
বন্ধুর বাড়ি–আর সবার মতো আমারও ছিল।
হঠাৎ কিছু লোক তুড়ি মেরে মুহূর্তে আমাকে
নিষিদ্ধ বস্তু বানিয়ে দিল!
কার কী নষ্ট করেছিলাম আমি?
কিছুই তো ছিল না আমার, শুধু ওই স্বপ্নটুকু ছিল,
ওই স্বপ্ন সম্বল করে বেঁচে ছিলাম সুখে দুখে, নিজের মতো। ব্য
স্ত শহরের ভিড়ে, রোদে ভিজে, আর সব
মানুষের মতো আমার ওই সামান্য বেঁচে থাকাটুকু–
কেন কেড়ে নিতে হবে কারও!
নিষিদ্ধ বস্তুকে গর্তে পুরে রেখেছে রাজার লোকেরা।
ধর্ম-ধ্বংস-করা ডাইনিকে অবশেষে পাকড়াও করা গেছে–
ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে পুরো বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে খবর,
ধর্মান্ধদের হাঁ করা মুখে ঢেলে দিচ্ছে সুস্বাদু খাদ্য,
সন্ত্রাসীর জিভ থেকে ঝরানো হচ্ছে গনগনে লাভা।
কারও খেলার জিনিস তো নয়। আমার জীবন তো জীবন!
জনতার আদালত বলে কোনও আদালত কোথাও কি নেই?
বারান্দার ফুলগাছ, বাজার হাট, বিকেলবেলার থিয়েটার,
বন্ধুর বাড়ি–আর সবার মতো আমারও ছিল।
হঠাৎ কিছু লোক তুড়ি মেরে মুহূর্তে আমাকে
নিষিদ্ধ বস্তু বানিয়ে দিল!
কার কী নষ্ট করেছিলাম আমি?
কিছুই তো ছিল না আমার, শুধু ওই স্বপ্নটুকু ছিল,
ওই স্বপ্ন সম্বল করে বেঁচে ছিলাম সুখে দুখে, নিজের মতো। ব্য
স্ত শহরের ভিড়ে, রোদে ভিজে, আর সব
মানুষের মতো আমার ওই সামান্য বেঁচে থাকাটুকু–
কেন কেড়ে নিতে হবে কারও!
নিষিদ্ধ বস্তুকে গর্তে পুরে রেখেছে রাজার লোকেরা।
ধর্ম-ধ্বংস-করা ডাইনিকে অবশেষে পাকড়াও করা গেছে–
ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে পুরো বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে খবর,
ধর্মান্ধদের হাঁ করা মুখে ঢেলে দিচ্ছে সুস্বাদু খাদ্য,
সন্ত্রাসীর জিভ থেকে ঝরানো হচ্ছে গনগনে লাভা।
কারও খেলার জিনিস তো নয়। আমার জীবন তো জীবন!
জনতার আদালত বলে কোনও আদালত কোথাও কি নেই?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৬৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন