ভয়ংকর
তসলিমা নাসরিন
বরং বাঘ টাঘ নিয়ে বলো,
কৃষ্ণসার হরিণ নিয়ে কথা বলো।
মানুষের কথা বলো না,
মানুষ খুব ভয়ংকর।
বাঘকে খোঁচাবে তো রক্ষে নেই।
হরিণের গায়ে হাত তুলেছো কী মরেছে।
মানুষকে খোঁচালে চলে,
বোমা মেরে উড়িয়ে দিলেও ঠিক আছে।
যে মানুষ যুক্তি দেখায়, তর্ক করে,
ভাবে,
ভাবনাটা ছড়ায়,
তারা মানুষ তো নয়, আগুন।
আগুন যে করেই হোক নেভাতে হয়।
যে মানুষগুলো জন্তুর মতো,
ভাবনা নেই,
বেশ আছে,
খায় দায় ঘুমোয়,
যেভাবে অন্যরা চলে, সেভাবে চলে।
ওদের বাঁচিয়ে রাখো।
জন্তুরা খায় দায় ঘুমোয়,
আর জঙ্গলের শোভা বর্ধন করে।
এই চিন্তাশক্তিহীন লোকগুলোও
লোকালয় শোভিত
করে আছে বহুঁকাল।
এরাই থাকুক বেঁচে। দুধে ভাতে।
চিন্তকদের কথা ছাড়ো,
কৌশলে বন্দি করো ওদের,
পারলে মেরে ফেলো।
ওদের কথা নয়,
বরং অন্য কথা বলো।
হরিণ টরিণ।
কৃষ্ণসার হরিণ নিয়ে কথা বলো।
মানুষের কথা বলো না,
মানুষ খুব ভয়ংকর।
বাঘকে খোঁচাবে তো রক্ষে নেই।
হরিণের গায়ে হাত তুলেছো কী মরেছে।
মানুষকে খোঁচালে চলে,
বোমা মেরে উড়িয়ে দিলেও ঠিক আছে।
যে মানুষ যুক্তি দেখায়, তর্ক করে,
ভাবে,
ভাবনাটা ছড়ায়,
তারা মানুষ তো নয়, আগুন।
আগুন যে করেই হোক নেভাতে হয়।
যে মানুষগুলো জন্তুর মতো,
ভাবনা নেই,
বেশ আছে,
খায় দায় ঘুমোয়,
যেভাবে অন্যরা চলে, সেভাবে চলে।
ওদের বাঁচিয়ে রাখো।
জন্তুরা খায় দায় ঘুমোয়,
আর জঙ্গলের শোভা বর্ধন করে।
এই চিন্তাশক্তিহীন লোকগুলোও
লোকালয় শোভিত
করে আছে বহুঁকাল।
এরাই থাকুক বেঁচে। দুধে ভাতে।
চিন্তকদের কথা ছাড়ো,
কৌশলে বন্দি করো ওদের,
পারলে মেরে ফেলো।
ওদের কথা নয়,
বরং অন্য কথা বলো।
হরিণ টরিণ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন