রূপকথা
শামসুর রাহমান
আজব দেশের ধন্য রাজা
দেশজোড়া তাঁর নাম।
বসলে বলেন ‘হাঁট রে তোরা’,
চললে বলেন, ‘থাম।
রাজ্যে ছিল সান্ত্রি-সিপাই
মন্ত্রী কয়েক জোড়া।
হাতিশালে হাতি ছিল
ঘোড়াশালে ঘোড়া।
গাছের ডালে শুক-সারিদের
গল্প ছিল কত,
গল্পে তাদের রাজার কথা
ফুটত খইয়ের মতো।
চাষির মাঠে ধান ফলে না,
ফসল গেল কই?
রাজা বলে খাওগে সবাই
রাঙাধানের খই।
রাঙাধানের খই পাব কই,
বলল দেশের প্রজা,
খই ফুরুল, দই ফুরুল,
নেইকো পিঠের মজা।
‘আর কটা দিন সবুর করো’
রাজা বলেন হেসে,
‘ফলবে মেওয়া, সোনা-দানায়
রাজ্যি যাবে ভেসে।
এই-না বলে স্বপ্নে রাজা
দেখেন সোনার ঘোড়া।
প্রজা দেখে রাজার মুকুট
কাগজ দিয়ে গড়া!
দেশজোড়া তাঁর নাম।
বসলে বলেন ‘হাঁট রে তোরা’,
চললে বলেন, ‘থাম।
রাজ্যে ছিল সান্ত্রি-সিপাই
মন্ত্রী কয়েক জোড়া।
হাতিশালে হাতি ছিল
ঘোড়াশালে ঘোড়া।
গাছের ডালে শুক-সারিদের
গল্প ছিল কত,
গল্পে তাদের রাজার কথা
ফুটত খইয়ের মতো।
চাষির মাঠে ধান ফলে না,
ফসল গেল কই?
রাজা বলে খাওগে সবাই
রাঙাধানের খই।
রাঙাধানের খই পাব কই,
বলল দেশের প্রজা,
খই ফুরুল, দই ফুরুল,
নেইকো পিঠের মজা।
‘আর কটা দিন সবুর করো’
রাজা বলেন হেসে,
‘ফলবে মেওয়া, সোনা-দানায়
রাজ্যি যাবে ভেসে।
এই-না বলে স্বপ্নে রাজা
দেখেন সোনার ঘোড়া।
প্রজা দেখে রাজার মুকুট
কাগজ দিয়ে গড়া!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৯১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন