এখন একটি নয়, দু’টি নয়, তিনটিও নয়, একপাল
চিত্রল হরিণ আসে শহরের অখ্যাত গলিতে,
আসে সাবলীলভাবে। বনবাসকালীন বন্যতা
এখনো যায়নি মুছে, ইট পাথরের কাছে যেন
ভয় করবার কিছু নেই, যেন ওদের আহত করবে না
কোনো অস্ত্র, পড়বে না মোটরকারের নিচে কিংবা
বাজারে দেবে না বেচে কেউ শস্তা দামে। আস্তে সুস্থে
ওর এই ছায়াচ্ছন্ন গলিতে প্রবেশ করে আর
আমার বাড়িকে ঝিল ভেবে বিশ্রামের প্রত্যাশায়
উঠোনে ঘাসের মতো স্বপ্ন ডোবে। এইসব প্রাণী
কী করে এখানে এল, এই প্রশ্ন আমাকে কেবলি
ঠোকরাতে থাকে, অকস্মাৎ স্তব্ধ তার মধ্য থেকে
ছন্দিত গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে আসে একটি হরিণ-
বলে, ‘শুধে দিতে চাই আজ সেই কবেকার ঋণ।
১৯৯

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন