স্মৃতির শহর ০৪
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ছাতুবাবুর বাজারে চড়কের মেলার মাঝখানে
হুড়মুড়িয়ে এসে পড়লো বর্গীর মতন বৃষ্টি
একজন মানুষ শূন্যে ঝুলছে
আকাশের বুক ফাটানো বজ্র গর্জনের পর
সে নীচে পড়লো, না উপরে উঠে গেল
কেউ দেখে নি।
অকস্মাৎ সেই সন্ধ্যাটির বিদ্যুৎ প্রতিভা
সব দৃশ্যগুলি অদৃশ্য করে দেয়
পলাতক পায়রার সঙ্গে মিশে যায় মানুষ
সকলেই যে-যার রাস্তায় হারিয়ে গিয়ে
খুঁজছে আর একজনকে
খাতায় খাতায় মেয়েমানুষেরা ছুটে যাচ্ছে
রামবাগানের দিকে
আসলে সেটা নিরুদ্দেশের পথ
সেখানে এখন লরি ও ঠেলাগাড়িতে ট্রাফিক জ্যাম
লণ্ডভণ্ড মেলা প্রাঙ্গণের বর্ষণ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে
এক কিশোরী গলা চিরে ডাকছে, বাবা, বাবা!
কেউ সাড়া দেয় না
বাঁশবাজির নায়ক ততক্ষণে
ছিটকে চলে গেছে অন্য এক শতাব্দীতে!
হুড়মুড়িয়ে এসে পড়লো বর্গীর মতন বৃষ্টি
একজন মানুষ শূন্যে ঝুলছে
আকাশের বুক ফাটানো বজ্র গর্জনের পর
সে নীচে পড়লো, না উপরে উঠে গেল
কেউ দেখে নি।
অকস্মাৎ সেই সন্ধ্যাটির বিদ্যুৎ প্রতিভা
সব দৃশ্যগুলি অদৃশ্য করে দেয়
পলাতক পায়রার সঙ্গে মিশে যায় মানুষ
সকলেই যে-যার রাস্তায় হারিয়ে গিয়ে
খুঁজছে আর একজনকে
খাতায় খাতায় মেয়েমানুষেরা ছুটে যাচ্ছে
রামবাগানের দিকে
আসলে সেটা নিরুদ্দেশের পথ
সেখানে এখন লরি ও ঠেলাগাড়িতে ট্রাফিক জ্যাম
লণ্ডভণ্ড মেলা প্রাঙ্গণের বর্ষণ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে
এক কিশোরী গলা চিরে ডাকছে, বাবা, বাবা!
কেউ সাড়া দেয় না
বাঁশবাজির নায়ক ততক্ষণে
ছিটকে চলে গেছে অন্য এক শতাব্দীতে!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন