আমি হাসি খুশি খুবি!
আবার কাঁদিয়ও বেশি বেশি!
আমি সুখে দুঃখে সুখী
আবার দুঃখে সুখে দুঃখী,
সব মিলিয়ে বেঁচে আমি—
অবসরে গান লিখি।

আমি চাঁদের চন্দ্রবিন্দু!
আমি দুঃখের এই -ঃ বিন্দু!
আমি পথহারাদের বন্ধু!
আমি উদারতার সিন্ধু!
আমি সাদিকের মুখে মধু!
আবার কাযিবের মুখে কটু!
আমি মৃধু বাতাস উদাস পূরবী—

আমি আমার ভিতর চেয়ে দেখি
সব কবিদের বাণী—
আমি রবি ঠাকুরের লিখে যাওয়া গান
মায়াবন বিহারিনী।
আমি জালিম রাজার অন্যায় দেখে
হয়ে হয়ে উঠি দ্রোহী—
আমি নজরুল কবির রেখে যাওয়া গান
কবিতা বিদ্রোহী।
আমি পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের
নকশি কাঁথার মাঠ—
আমি একাধিক সূর্যে ঘিরে রাখা ঐ
হাশরের মহা মাঠ।

আমি শয়তান থেকে রক্ষাকারী
ফেরেশতা হাফাজাহ—
আমি জাহান্নামিদের নিয়ে যাওয়া ঐ
যাবানিয়া মালাইকাহ।
আমি অহির বাহক জিব্রাইলের
সাতশত সাত পাখা—
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি গগণ পানে
আমার আগাম পথ আকাঁ।

আমি শনি! আমি ফণি!
আমি ফাঁসির মঞ্চের রশি!
আমি শনি ফণি রশি!
আমি পথে পথে যত জালিমকে পাই—
ধরে ধরে দেই ফাঁসি।

আমি মাঠির তলে লুকিয়ে থাকা
উত্তপ্ত অগ্নি আভা!
আমি প্রেয়সীর সব সখা!
আমি অগ্নি আভা! আগুন আভা!
সিংহের হাতের থাবা!
আমি যেখানেই পাই লৌহমানব—
করি সাথে সাথে মাথা কাটা।
আমি সব নিপীড়ণ করে করে দেই সাফা।
আমি আমার পরিচয় দিচ্ছি!
শুনো মেলে কান-পাতা—
আমি মহাবিশ্বের মহা শক্তিশালী
একচ্ছত্র রাজা!

আমি রাজা! আমি সাজা!
আমি সুলতান! আমি বাদশাহ!
আমি মহা বড় সম্রাট—
আমি ভূলকের মহা মানচিত্রের
বড় বড় মহা আঁর্ট।

পরে পড়বো
৯০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন