আশ্রয়
আবুল হাসান
তুমি শুভ্রা, তুমি শস্যশীলা, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলে কে কণা
অনিদ্র মাধুরী!
হোক উপহাস্য তবু তুমি প্রেম, তুমি প্রচলিত ভণ্ডামী নও!
তুমি প্রেমহীন পুরুষের ক্লান্তিবোধ নও,
তুমি কুমারীর কালো খোঁপা খুললেই কাঁপাও কুসুম!
তুমি ব্যাৎসায়ন পড়োনি তবু
ব্যাৎসায়ন-অধিক সূক্ষ্ম কামকলা অভিজ্ঞা সুন্দরী!
তুমি অনুর্বরা নও, কালো মৃত্তিকার মূলে মিলিত কুমকুম তুমি!
বেঁচে থাকো অভিলাষ যৌবনের সাতমহল শুদ্ধ হাততালি!
তুমি নর্তকী যখোন নাচে তার তীব্র তমস্য হরণ ছন্দ, তুমি তামসিক!
তুমি জ্যোত্স্নায় সাতশো সুন্দর শাদা দুরস্ত ঘোড়ার খুরে খুরে
উন্মাতাল নাচ!
সমাজের সব ডাইনীদের খলপনা থেকে তুমি বেরিয়ে এসেছে আজ
তমসার ভ্রূণ ভেঙে বেরিয়ে এসেছো তুমি সদ্যজাত ভোর।
তুমি নব সকালের নব রৌদ্রযুগ!
তোমরা ভিতরে গেলে গর্বিত গহন সারি সারি সুরম্য প্রাসাদ
দেখি আমি মর্মর খিলান ছাঁদ ঢের
মসলিন তাঁতের খটাখট কানে আসে যেনো তুমি তাঁত
যেনো তুমি কুয়াশার চেয়ে মিহি মসলিনে ফের
ফিরে আসা নব শিল্পকলা।
আমাদের প্রপিতামহীরা যাকে বাদশাজাদীর মতো শরীরে সাজিয়ে সময়ের
ঘুমে ঢুলু ঢুলু আহা ডাকতো নোনারু কণ্ঠে আয় চাঁদ আয়!
আমি তোমার গ্রীবার গ্রামে আজ ফিরে পেলাম ব্যথায়
বিলুপ্ত বৃক্ষের সেই সুরভিত পাতার সুঘ্রাণ!
আমার অরণ্য বিদ্যা তুমি হে বনানী হে আমার আম্রকানন
হাটুরে পায়ের চিহ্ন লেগে থাকা হে আমার ঘরে ফেরা পথ
তুমি ধান ভানো, গান গাও, আজো কোলে শিশু ডেকে আনো!
আজো শীতরাতে তুমি কুয়াশায় ক্ষুধিত চাঁদের মতো বাঁকা জটিদেশ,
হায় তুমি, হায় অবিরাম রাতে ভেসে আসা উষ্ণ ছিপ নৌকা আমার!
তুমি আমাকে দহন দিয়ে এই যে সহন শান্তি অমরতা দিলে
এই তো মানুষ চায়, যুগে যুগে এই তার জেগে থেকে ঘুমোবার সাধ!
অনিদ্র মাধুরী!
হোক উপহাস্য তবু তুমি প্রেম, তুমি প্রচলিত ভণ্ডামী নও!
তুমি প্রেমহীন পুরুষের ক্লান্তিবোধ নও,
তুমি কুমারীর কালো খোঁপা খুললেই কাঁপাও কুসুম!
তুমি ব্যাৎসায়ন পড়োনি তবু
ব্যাৎসায়ন-অধিক সূক্ষ্ম কামকলা অভিজ্ঞা সুন্দরী!
তুমি অনুর্বরা নও, কালো মৃত্তিকার মূলে মিলিত কুমকুম তুমি!
বেঁচে থাকো অভিলাষ যৌবনের সাতমহল শুদ্ধ হাততালি!
তুমি নর্তকী যখোন নাচে তার তীব্র তমস্য হরণ ছন্দ, তুমি তামসিক!
তুমি জ্যোত্স্নায় সাতশো সুন্দর শাদা দুরস্ত ঘোড়ার খুরে খুরে
উন্মাতাল নাচ!
সমাজের সব ডাইনীদের খলপনা থেকে তুমি বেরিয়ে এসেছে আজ
তমসার ভ্রূণ ভেঙে বেরিয়ে এসেছো তুমি সদ্যজাত ভোর।
তুমি নব সকালের নব রৌদ্রযুগ!
তোমরা ভিতরে গেলে গর্বিত গহন সারি সারি সুরম্য প্রাসাদ
দেখি আমি মর্মর খিলান ছাঁদ ঢের
মসলিন তাঁতের খটাখট কানে আসে যেনো তুমি তাঁত
যেনো তুমি কুয়াশার চেয়ে মিহি মসলিনে ফের
ফিরে আসা নব শিল্পকলা।
আমাদের প্রপিতামহীরা যাকে বাদশাজাদীর মতো শরীরে সাজিয়ে সময়ের
ঘুমে ঢুলু ঢুলু আহা ডাকতো নোনারু কণ্ঠে আয় চাঁদ আয়!
আমি তোমার গ্রীবার গ্রামে আজ ফিরে পেলাম ব্যথায়
বিলুপ্ত বৃক্ষের সেই সুরভিত পাতার সুঘ্রাণ!
আমার অরণ্য বিদ্যা তুমি হে বনানী হে আমার আম্রকানন
হাটুরে পায়ের চিহ্ন লেগে থাকা হে আমার ঘরে ফেরা পথ
তুমি ধান ভানো, গান গাও, আজো কোলে শিশু ডেকে আনো!
আজো শীতরাতে তুমি কুয়াশায় ক্ষুধিত চাঁদের মতো বাঁকা জটিদেশ,
হায় তুমি, হায় অবিরাম রাতে ভেসে আসা উষ্ণ ছিপ নৌকা আমার!
তুমি আমাকে দহন দিয়ে এই যে সহন শান্তি অমরতা দিলে
এই তো মানুষ চায়, যুগে যুগে এই তার জেগে থেকে ঘুমোবার সাধ!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৪৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন