বলো তারে শান্তি শান্তি
আবুল হাসান
বলো তারে শান্তি শান্তি হিরন্ময় পাত্রে ঢাকা বীজধান,
জলবাশি, সুস্বাদু রাখাল,
সূর্যতপা মাটির গভীরে গাঢ় গায়কী আকড়াই গ্রাম,
আকাশে আড়ালে নীলিমা :
শাদা কপোতের মতো বিস্তারিত রৌদ্র, রৌদ্রের ভোরাই
বলো তারে শান্তি শান্তি, জলের অতলে মাছ মুগ্ধ আঁশটে সঙ্কেত-শানাই
দেশ হোক দৈবদেশ, দৈব হোক হিরণ্যগর্ভের ফোঁটা ঋতু-আসনাই!
বসন্ত যেনো না কাটে আর ঘরে খাদ্যের সারিতে এত প্রতীক্ষায় ভাই!
ফুলঅলী, শান্তির আয়না-প্রতিফলনের, বলে চন্দন সবিতা পুনরায়।
বলো তারে আতর-লোবানগন্ধী এই বীজ পুস্পোদ্যানে, স্বর্ণচক্রে হয়ে যায়
যেন জ্যোতিশ্চ সব গৃহস্থের মাটির চিবুকে আজ ঘাসের রানার!
বলো তারে শান্তি নীল সূর্য, বিকাশে রেশম!
অমরতাতন্ত্র বুনে চলে যায় রৌদ্রে রৌদ্রে যুগান্তের হাওয়া যেই হোম
বলো তারে শান্তি হোক, ভালো থোক সব।
বোরোক্ষেতে ঝরাজল, আদিজল, জিউলীজল, শস্যজল বললো শান্তি হোক
আঙ্গুলে দুঃখের ক্ষতে কুমাখা ভিখিরিনী–তবু গাড়ী টানে,
জীবিকা এমন জয়ী, রোগ শোক দুঃখ জরা কুষ্ঠকেও কান ধরে আনে
বসায় কর্মের কুবলয়ে।
তার ছায়া পড়ে পিঠে যে মানুষ সুস্থ তার ক্রমানতি ক্ষয়ে!
বেঁচে থেকে তবু বরাভয়
আমার ছায়ার চক্ষু চষাক্ষেতে চেতন চিরায়ু চাষী বলে ওঠে ‘হয়’
এতো শোভাপুর,–আমি কি বলবো তাকে হে অমোঘ
হে পরিপ্রেক্ষিতের ভঙ্গী, হে দ্যুতি হে সুন্দরের খনিজ অমিয়, তবে
হোক
অভাবের পিঠে ভাসা লোনাজলে দুঃখিনীর ভেজা চক্ষু দেখে যাক
ধর্মের অশোক।
যে পঙ্গু চরায় গাই
ও আমার সহোদর, ও আমার বনভূমি ভাই!
বলো ওরে শান্তি শান্তি, বলো ঝিরি ঝিরি
তার মরমের খেলনা মাংসে মরি মরি
স্বর্ণখালা হয়ে যায় শান্তিতে যেনো সব স্বপ্ন বুরি বুরি!
বুকের বকুলে ঝরা কারখানা, লোহার লাংসের মধ্যে রচিত মেশিনে
আত্মবলিদানে আজো রক্তে কত খৃষ্ট ঝরে পেরেকে, লোহায়!
কতনা তমসা ভাসি জন্মে কত করুণার কাকস্য বেদনা হয়ে যায়
তবু বরাভয়
হে রক্ত, হে খৃষ্ট তুমি আত্মোৎসর্গী মেশিনের দোমড়ানো লোহা!
বলো তারে শান্তি শক্তি বলো আদিভাষা বলো ‘আলো হ’, ‘আলো হ’
মানুষের মৃত্তিকায় বীজধানে শস্যেমন্ত্রে এ আলো আভায়
ওগো শান্তি তোর কন্যা যেনো তোর রূপেগুণে আয়ুষ্মতি হয়।
এই বর দেই,
দুঃখের কণ্ঠে এই বর ছাড়া আর কিছু উজ্জ্বলিত নেই
দেয় তোকে তোর ব্যবহার,
যদি চাস দেই তোকে মৃত্যু লিখে আমার উজ্জ্বল উপহার!
তবু বল আছে
সব গিয়ে সব থুয়ে এখনা চুম্বনেচিতে
স্পর্শে হর্ষে শীতে আলিঙ্গনে শিল্পের শোভায়
কেউবা সফেন শান্ত চুপিসারে মানবিক লোক
মধ্যরাতে ঝাউকান্না কেঁদে বলে, শান্তি হোক, ওরে শান্তি হোক!
জলবাশি, সুস্বাদু রাখাল,
সূর্যতপা মাটির গভীরে গাঢ় গায়কী আকড়াই গ্রাম,
আকাশে আড়ালে নীলিমা :
শাদা কপোতের মতো বিস্তারিত রৌদ্র, রৌদ্রের ভোরাই
বলো তারে শান্তি শান্তি, জলের অতলে মাছ মুগ্ধ আঁশটে সঙ্কেত-শানাই
দেশ হোক দৈবদেশ, দৈব হোক হিরণ্যগর্ভের ফোঁটা ঋতু-আসনাই!
বসন্ত যেনো না কাটে আর ঘরে খাদ্যের সারিতে এত প্রতীক্ষায় ভাই!
ফুলঅলী, শান্তির আয়না-প্রতিফলনের, বলে চন্দন সবিতা পুনরায়।
বলো তারে আতর-লোবানগন্ধী এই বীজ পুস্পোদ্যানে, স্বর্ণচক্রে হয়ে যায়
যেন জ্যোতিশ্চ সব গৃহস্থের মাটির চিবুকে আজ ঘাসের রানার!
বলো তারে শান্তি নীল সূর্য, বিকাশে রেশম!
অমরতাতন্ত্র বুনে চলে যায় রৌদ্রে রৌদ্রে যুগান্তের হাওয়া যেই হোম
বলো তারে শান্তি হোক, ভালো থোক সব।
বোরোক্ষেতে ঝরাজল, আদিজল, জিউলীজল, শস্যজল বললো শান্তি হোক
আঙ্গুলে দুঃখের ক্ষতে কুমাখা ভিখিরিনী–তবু গাড়ী টানে,
জীবিকা এমন জয়ী, রোগ শোক দুঃখ জরা কুষ্ঠকেও কান ধরে আনে
বসায় কর্মের কুবলয়ে।
তার ছায়া পড়ে পিঠে যে মানুষ সুস্থ তার ক্রমানতি ক্ষয়ে!
বেঁচে থেকে তবু বরাভয়
আমার ছায়ার চক্ষু চষাক্ষেতে চেতন চিরায়ু চাষী বলে ওঠে ‘হয়’
এতো শোভাপুর,–আমি কি বলবো তাকে হে অমোঘ
হে পরিপ্রেক্ষিতের ভঙ্গী, হে দ্যুতি হে সুন্দরের খনিজ অমিয়, তবে
হোক
অভাবের পিঠে ভাসা লোনাজলে দুঃখিনীর ভেজা চক্ষু দেখে যাক
ধর্মের অশোক।
যে পঙ্গু চরায় গাই
ও আমার সহোদর, ও আমার বনভূমি ভাই!
বলো ওরে শান্তি শান্তি, বলো ঝিরি ঝিরি
তার মরমের খেলনা মাংসে মরি মরি
স্বর্ণখালা হয়ে যায় শান্তিতে যেনো সব স্বপ্ন বুরি বুরি!
বুকের বকুলে ঝরা কারখানা, লোহার লাংসের মধ্যে রচিত মেশিনে
আত্মবলিদানে আজো রক্তে কত খৃষ্ট ঝরে পেরেকে, লোহায়!
কতনা তমসা ভাসি জন্মে কত করুণার কাকস্য বেদনা হয়ে যায়
তবু বরাভয়
হে রক্ত, হে খৃষ্ট তুমি আত্মোৎসর্গী মেশিনের দোমড়ানো লোহা!
বলো তারে শান্তি শক্তি বলো আদিভাষা বলো ‘আলো হ’, ‘আলো হ’
মানুষের মৃত্তিকায় বীজধানে শস্যেমন্ত্রে এ আলো আভায়
ওগো শান্তি তোর কন্যা যেনো তোর রূপেগুণে আয়ুষ্মতি হয়।
এই বর দেই,
দুঃখের কণ্ঠে এই বর ছাড়া আর কিছু উজ্জ্বলিত নেই
দেয় তোকে তোর ব্যবহার,
যদি চাস দেই তোকে মৃত্যু লিখে আমার উজ্জ্বল উপহার!
তবু বল আছে
সব গিয়ে সব থুয়ে এখনা চুম্বনেচিতে
স্পর্শে হর্ষে শীতে আলিঙ্গনে শিল্পের শোভায়
কেউবা সফেন শান্ত চুপিসারে মানবিক লোক
মধ্যরাতে ঝাউকান্না কেঁদে বলে, শান্তি হোক, ওরে শান্তি হোক!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন