সাইকেল

আবুল হাসান আবুল হাসান

সাইকেল ছিল প্রতিবেশীর কলেরা রোগে দ্বিপ্রহরে কাফন মতো রৌদ্র খুলে
শ্যাম ডাক্তারকে ডেকে আনা;
সাইকেল ছিল মেঘমাখানো বিকেলে খালার পাহাড়ভূমির সে স্থলপদ্ম!
রাত্রিবেলা নারীশরীরের শৌখিন ঘর! আঙ্গিনাতে কাঠবাদাম!

সাইকেল ছিল মরণদাসীর বৈষ্ণবআখড়া, শীতকল্যাণে
খুলনা গিয়ে ছবিঘরে সচল দৃশ্য!

লম্বালম্বি গাছের মতো মর্মরিত সেই লোকটা,
সন্তপুরুষ বাল্মীকিকে দেখিনি, কিন্তু তাকে দেখে মনে হতো,
বাল্মীকি কি অমন ছিলেন?

সাইকেল ছিল বাঁশবেড়িয়ার বাঁশের সাঁকো,
কুমারী মেয়ের আত্মহত্যা,

যুক্তফ্রন্টের ইলেকশনে কিশোর ক’জন
স্কুলবোর্ডিং-এ শরণার্থী সারাটা রাত কাটিয়ে দিলুম হরিণ নিয়ে!
সেই হরিণটা আর দেখিনা, বুকেও নয় বনেও নয়!

সে জ্যোৎস্নাও আর আসে না!
সাইকেল ছিল পরস্পরের কুশলবার্তা, নম্রতায়িত
লঞ্চে কোরে হরিদাশপুর, একহপ্তাকার কবিগানের গৃহীত শ্রোতা,

সাইকেল ছিল যেদিন ওরা মানুষ মারলো মানুষ মারলো অপকৃষ্ট
সেদিন স্বর্গ ধর্ম ভাঙা লাথি মেরে ঈশ্বরমূলে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন