(আবিদ, শেহাব, সুকান্ত, মনোয়ার ও মাশুককে)
আমি কার কাছে যাবো? কোনদিকে যাবো?
অধঃপতনের ধুম সবদিকে, সভ্যতার সেয়ানা গুণ্ডার মতো
মতবাদ; রাজনীতি, শিল্পকলা শ্বাস ফেলছে এদিকে ওদিকে,
শহরের সবদিকে সাজানো রয়েছে শুধু শাণিত দুর্দিন, বন্যা অবরোধ
আহত বাতাস!
আমি কার কাছে যাবো? কোনদিকে যাবো?
কোন শহরের দিকে যাবো আমি? যৌবনের জ্বলন্ত শিরায় আজ
এই যে জ্বলছে চাঁদ জ্যোৎস্না, চাঁদ জ্যোৎস্না আর জ্যোৎস্নাফুল,
হৃদয়ের ভিতরে ব্যাকুল,
জলছে এই যে স্বপ্ন, স্মৃতি, শব্দ, অলঙ্কার
অভাবের মরীচিকা, এ শহর কার?
এ শহরে জন্মদিবস হয় না? সোনালি যুবতী নেই? চন্দ্রহার
বাহুর বৃত্তের বহ্নি, পিপাসার রক্তসাগরমাখা সমস্যার
সাম্রজ্যে এখানে বুঝি বাজে.না সানাইয়ের সুর?
বসে না উদার তাবু? লাল নীল কার্ণিভাল, আসে না ময়ূর?
এখানে কেবলি ক্ষুধা, মহামারী, মৃত্যুভয়
অবচেতনায়ও যদি আলো-কে নেভায় বলো আমার কি আসে যায় তাতে?
আমি নই ক্রীতদাস, হৃদয়ের আমি তো সম্রাট, আমি
এক লক্ষ রাজহাঁস ছেড়েছি শহরে, আমি জয়ী, আমি জয়ী!
আমি সভ্যতার পরোয়া করি না; সমস্যায় শূন্যতায় এ শহর যদি ফেরে
শত্রু কবলিত হয়,- হলে হোক- মহামারী বাড় ক পাঁজরে আর
মাংসের ভিতরে তার অন্ধকার আগ্রাসী আভায়
ঝরে যায় যদি সব, পুড়ে যায় যদি প্রেম, থোকা থোকা
আমাদের সে উদ্ধত অভিজ্ঞান, ধন্য সব আশা কুহকিনী,
আমি তবু পরোয়া করিনা আমি যে শহরে যাবো,
সে তো শিল্প, সে তো ‘সারাদিন’- পুনর্বার বাংলাভাষার।
সে তো ভোর, রঙ্গীন জলের আয়না, মধ্যরাত, সোনালি সুদিন!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন