সজীব গাউন পরা অই গাছগুলো কী রগড় করে যে
হাওয়ার সাথে প্রতিদিন!
সবুজ পাতার মুদ্রা তুলে তুলে নাচে, বক্ষোবাস খুলে খুলে নাচে
নিপুণ নটীর সহোদরা।
সকালে কাঠের খোপ থেকে বের হয়ে মুরগীগুলো
যখোন শস্যকণা খোঁজে,
কাক ও চড়াই চঞ্চু দিয়ে খুঁটে খুঁটে তুলে আনে
টাটকা সুগন্ধী ভোর;
তখনো কোচড় থেকে সোমত্ত সুন্দর গাছগুলো
ঢেলে দেয় মিহি অকসিজেন!
সারারাত শয়নিতা পাখিনীর শয়ন গড়িয়ে রাখে ওরা
প্রাতঃরাশ সাজিয়ে সকালে
সূর্য ওঠার আগে দাঁড়িয়েই থাকে ঠায় পাখির ঘরের কাছে
প্রাকৃতিক চাকর, খানসামা!
সচ্ছল সিন্দুক থেকে বের কোরে দেয় রোজ
ভেষজ ওষুধ ফল,
প্রাণপ্রতিশোধক নির্যাস!
আমরা যখোন শার্টের তলায়
নিজস্ব গোপন ছুরি নিয়ে চলা ফেরা করি
প্রতিমূহুর্তের আয়নায় আত্মহত্যা করি আর
প্রতিমুহূর্তের অবিশ্বাসে।
এর ওর সাথে কথা বলি,
সে মুহূর্তে ওরা বিলায় ওদের নিজস্ব সম্পদ
নির্বিশেষে চুপিচাপি,
বড় মায়া হয় যখোন ওদের দেখি।
কুঠারের ক্রুশে বিদ্ধ মেরীর সন্তান!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন