কেউ তাকে কখনো দেখেনি, অথচ সে ছিল পাশে
আমাদেরই আশে-পাশে কিন্তু আজ এখন কোথাও নেই!
এখন সে জলে ভাসমান লাশ, মৃতদেহ একজন কবির।
আর জানোই তো কবিরা কাঁদলেও তার অশ্রু থেকে মৃত্যু ঝরে পড়ে?
আর জানোই তো তাদের অশ্রুর মূলে মর্মর ঝরঝর করে আজো
ঝরে যায় ফের
তারই স্বদেশ
কেউ তাকে কখনো দ্যাখেনি, অথচ সে ছিল পাশে
সে এখন জলে ভাসমান লাশ একজন কবির!
কবি তাকে যখোনই ভাসায় জলে,
পদ্ম তাকে ঠুকরে ঠুকরে খায় যেনো তারই অশ্রু, তারই অক্ষমতা!
অর্থাৎ তারই মৃত্যু, তার অবসান তার
উদগত নিঃশ্বাস!
মাছরাঙ্গা এই মৃত্যু দেখে ফেলে, বারবার
জলের ঘূর্ণিও তার এ রকম মৃত্যুর ভিতর হাতছানি দিয়ে যায়
জেলেরা দুহাতে জাল ফেলে দিয়ে তুলে নেয় শেষে তার
চকচকে রূপোলী ইলিশমৃত্যু!
যুবতীরা জলের জঙ্ঘায় ফিরে পায় তার জীবনের ও বিগত প্রবাহ।
ঢোঁরা সাপ, কামট, হাঙ্গর মাছ এসে তাকে ছায়া দিয়ে যায়!
কবির চোখের কালো কোটরেও পৌঁছে দেয় যেনো দু’টি কালো মুক্তো
সেইখানে দুইটি ঝিনুক!
কবি যতবার কাঁদে এদেশেও অনাচার, মৃত্যু আর রক্তারক্তি বাঁধে!
কবির মৃত্যু নিয়ে আজো দ্যাখো ঐখানে লোফালুফি
ঐ তো পদ্মায় ওরা কবির ভাসন্ত মরা দেহ নিয়ে
খেলছে, খেলছে!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন