নির্বিকার মানুষ

আবুল হাসান আবুল হাসান

নদীর পারের কিশোরী তার নাভির নীচের নির্জনতা
লুট করে নিক নয়টি কিশোর রাত্রিবেলা
আমার কিছু যায় আসেনা,
খুনীর হাতের মুঠোয় থাকুক কুন্দকুসুম কি আসে যায়?
প্রেমিক করতলে না হয় লুকিয়ে ফেলুক ফুলের ফণা কি আসে যায়?
শিশুর মাথায় সাপের মতো বুদ্ধি খেলুক আমার তাতে কি আসে যায়?

বৃক্ষ ফলাক বিষাক্ত ফল, ছোঁব না আমি তবেই হলো!
আমার ছুঁতে হবেই এমন শর্ত কি কেউ বলে দিয়েছে।

পথের উপর গর্ত আছে আঁধার আমি দেখিনা যে!
না হয় আমার পা-ই ভাঙ্গুক, সঠিক পায়েই সুখী মানুষ?
নারীকে যে নিদ্রা থেকে চুম্বনে তার চোখ খুলিনি বলেই আমার
তার বিরোধী হতেই হবে, এমন কোনো শর্ত তো নেই।

আসবো বলে আর আসিনি, আসায় কিছু যায় আসেনা
এমনি যেমন মানুষ আসে তেমনি আমি চলে এলাম,
এই আসাই প্রচলিত ভিন্ন অর্থে ভিন মানুষের
কাঁপন খেয়ে কখন বনে কান্তি আবার কখন ধুলো
ধূসরতার প্রতিমূর্তি

এখন তোমার কাছে বসে এক অশান্তি এই যে কাঁদে কান্তি আমার
কোথায় আমি কান্তি পাবো? অভিমানের আগুনে যে
পোড়া পুতুল, কান্তি কোথায়?
প্রজ্বলিত অগ্নি আমার শুদ্ধতম শান্তি কোথায়?
অন্ধ আমি চতুর্মতি

আমরা এখন এ ওর প্রতি বাণ ছুঁড়ি আর হো হো হাসির মধ্যে নামাই
আর মানুষের উগ্র ক্ষতি।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন