নর্তকী ও মুদ্রাসঙ্কট
আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক
তুমি যখোন নৃত্য করো মুদ্রাগুলি কাঁপে
তোমার হাতের মধ্যে তো নয় যেনবা কিংখাবে,
তলোয়ারের মতোন তুমি তোমার দু’হাত তোলো,
চোখের নীচের নগ্নতাকে ছন্দ পেয়ে ভোলো।
আমি তখোন আমার পোড়া দেশের পাপে মরি।
নিজের কাছে নিজের দহে তীব্র তুলে ধরি।
তুমি তো নও আম্রপালী, বর্তমানের নারী
তোমার লাগে লিনোলিয়াম সিফন ঘেরা শাড়ি
তোমার লাগে সাত প্রেমিকের সুলভ করতালি,
বাগান তুমি যুবারা যেন তোমার কেনা মালী।
হাজার ফুলের মধ্যে দুটি ফুলের অনুতাপে
মর্মহাত মালীরা তবু তোমার বুকে কাঁপে।
কিন্তু বুকের কাছে কি আর সেই ফুলেরা আছে
দেবদাসীরা যখোন পূজায় পুরোহিতের কাছে
রাখতো জমা যাতনা অর জ্বরার অভিমান
পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে বলতো, হে সম্মান
আমাকে দাও শস্যকণা আমাকে দাও তীর
প্রাণের পাশে পরমায়ুর ঝর্ণা সুনিবিড়।
এখন শুধু হাতের কাপন, দিনযাপনের গ্লানি
মুদ্রা তুলে জাগাও তুমি অনতু একখানি
অনাশ্রয়ের অনিন্দ্রা আর অভিমানের গান :
যেখানে ভালোবাসারও নেই সুযোগ্য সম্মান।
তোমার হাতের মধ্যে তো নয় যেনবা কিংখাবে,
তলোয়ারের মতোন তুমি তোমার দু’হাত তোলো,
চোখের নীচের নগ্নতাকে ছন্দ পেয়ে ভোলো।
আমি তখোন আমার পোড়া দেশের পাপে মরি।
নিজের কাছে নিজের দহে তীব্র তুলে ধরি।
তুমি তো নও আম্রপালী, বর্তমানের নারী
তোমার লাগে লিনোলিয়াম সিফন ঘেরা শাড়ি
তোমার লাগে সাত প্রেমিকের সুলভ করতালি,
বাগান তুমি যুবারা যেন তোমার কেনা মালী।
হাজার ফুলের মধ্যে দুটি ফুলের অনুতাপে
মর্মহাত মালীরা তবু তোমার বুকে কাঁপে।
কিন্তু বুকের কাছে কি আর সেই ফুলেরা আছে
দেবদাসীরা যখোন পূজায় পুরোহিতের কাছে
রাখতো জমা যাতনা অর জ্বরার অভিমান
পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে বলতো, হে সম্মান
আমাকে দাও শস্যকণা আমাকে দাও তীর
প্রাণের পাশে পরমায়ুর ঝর্ণা সুনিবিড়।
এখন শুধু হাতের কাপন, দিনযাপনের গ্লানি
মুদ্রা তুলে জাগাও তুমি অনতু একখানি
অনাশ্রয়ের অনিন্দ্রা আর অভিমানের গান :
যেখানে ভালোবাসারও নেই সুযোগ্য সম্মান।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন