তুমি
আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক
তুমি শিল্পিত বৃক্ষের চূড়ও দেবদারুর মতো
মুগ্ধ কিন্নরের অবিনাশী গান!
অকরিক লোহার খনিজে ভরা অন্ধকার বস্ত্র ও আগুন!
তুমি অহোরাত্রি শুধু বিশুদ্ধির!
উটপাখির যুগল ডিমের লাস্যে খিলখিল মরুভূমি তুমি
মধ্যরাতে ধাতব চাঁদের নীচে নক্ষত্রের নৃত্য সহোদরা :
সংগুপ্ত সৃষ্টির বীজ :
যুদ্ধের বিরুদ্ধে তোলা যুঁইফুল জলপাইবাহার!
হে জিনধান কেন্দ্রী পাহাড় দৃশ্য, ঝর্ণাজল
তোমাকে নাহলে এই মরাল পংক্তির মেঘে মিলতোনা জলের ভ্রমর!
বারবার অভিষিক্ত পৃথিবীর নীলাভ নিটোল জলে
সোনার ঘোড়ার মতো তোমার নিতম্ব দেখে নদীকে কুর্নিশ করি!
সিংহের কান্নার মতো তোমার শরীরে আমি
অনুমান করি অরণ্য উদ্ভাস!
এক একবার মনে হয়েছে–
আমি হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে আমার জগৎ থেকে
যে জগৎ ছিল একদিন আকীর্ণ সাপের
যে জগৎ ছিল সিংহের রোমশ উচ্ছ্বাসের
যে জগৎ ছিল অরণ্যের, অযত্নবর্ধিত সব আদি যৌবনের
উদ্বাস্তুর মতো বারবার তাই আমি ফিরে তাকিয়েছি
সেইদিকে, তোমার দিকে :
স্বদেশ ছাড়ার মতো বেদনায় আমার দু’চোখ
সূর্যসংক্রান্তির ভোরে খুঁজেছে সব হারানোকে–আর
সেই হারানোর মধ্যে আয়নার মতো বারবার দুলে উঠেছে তোমার মুখ!
‘কেন উঠেছে?’
কেন তুমি আমার সবকিছুর সঞ্চয়ে নির্মিত হয়েছে এইভাবে?
শস্যের ভিতরে অঙ্কুরে
জলের ভিতরে নীল বুদ্বুদে
পাখির ভিতর শাদা পালকের গুচ্ছ গুচ্ছ গভীর জগতে
একটু একটু
জন্ম নিয়েছে তোমার গ্রীবা, তোমার গ্রন্থিল বাহু,
কেন? কেন? কেন?
কেন তোমার বেদনা বিকাশের ছবিখানি
আমার সমস্ত গ্রাস করে আছে?
কেন আমি অস্থিরতার পাশে পল্লবিত দেখতে পাই তোমাকেই
কখনো যুদ্ধের জ্ঞানে,
কখনো মেধায় কখনোবা যেনো তুমি অলৌকিক,
কখনো বুঝিনা তুমি, কী গভীর মৌল কুটনীতি!
কেন তবু তোমাকে খুঁড়লেই ফের ফিরে পাই
যেন জলের মধ্যে লাল নীল রূপোলী সুন্দর মাছ, স্বপ্নের স্বীকৃতি?
মুগ্ধ কিন্নরের অবিনাশী গান!
অকরিক লোহার খনিজে ভরা অন্ধকার বস্ত্র ও আগুন!
তুমি অহোরাত্রি শুধু বিশুদ্ধির!
উটপাখির যুগল ডিমের লাস্যে খিলখিল মরুভূমি তুমি
মধ্যরাতে ধাতব চাঁদের নীচে নক্ষত্রের নৃত্য সহোদরা :
সংগুপ্ত সৃষ্টির বীজ :
যুদ্ধের বিরুদ্ধে তোলা যুঁইফুল জলপাইবাহার!
হে জিনধান কেন্দ্রী পাহাড় দৃশ্য, ঝর্ণাজল
তোমাকে নাহলে এই মরাল পংক্তির মেঘে মিলতোনা জলের ভ্রমর!
বারবার অভিষিক্ত পৃথিবীর নীলাভ নিটোল জলে
সোনার ঘোড়ার মতো তোমার নিতম্ব দেখে নদীকে কুর্নিশ করি!
সিংহের কান্নার মতো তোমার শরীরে আমি
অনুমান করি অরণ্য উদ্ভাস!
এক একবার মনে হয়েছে–
আমি হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে আমার জগৎ থেকে
যে জগৎ ছিল একদিন আকীর্ণ সাপের
যে জগৎ ছিল সিংহের রোমশ উচ্ছ্বাসের
যে জগৎ ছিল অরণ্যের, অযত্নবর্ধিত সব আদি যৌবনের
উদ্বাস্তুর মতো বারবার তাই আমি ফিরে তাকিয়েছি
সেইদিকে, তোমার দিকে :
স্বদেশ ছাড়ার মতো বেদনায় আমার দু’চোখ
সূর্যসংক্রান্তির ভোরে খুঁজেছে সব হারানোকে–আর
সেই হারানোর মধ্যে আয়নার মতো বারবার দুলে উঠেছে তোমার মুখ!
‘কেন উঠেছে?’
কেন তুমি আমার সবকিছুর সঞ্চয়ে নির্মিত হয়েছে এইভাবে?
শস্যের ভিতরে অঙ্কুরে
জলের ভিতরে নীল বুদ্বুদে
পাখির ভিতর শাদা পালকের গুচ্ছ গুচ্ছ গভীর জগতে
একটু একটু
জন্ম নিয়েছে তোমার গ্রীবা, তোমার গ্রন্থিল বাহু,
কেন? কেন? কেন?
কেন তোমার বেদনা বিকাশের ছবিখানি
আমার সমস্ত গ্রাস করে আছে?
কেন আমি অস্থিরতার পাশে পল্লবিত দেখতে পাই তোমাকেই
কখনো যুদ্ধের জ্ঞানে,
কখনো মেধায় কখনোবা যেনো তুমি অলৌকিক,
কখনো বুঝিনা তুমি, কী গভীর মৌল কুটনীতি!
কেন তবু তোমাকে খুঁড়লেই ফের ফিরে পাই
যেন জলের মধ্যে লাল নীল রূপোলী সুন্দর মাছ, স্বপ্নের স্বীকৃতি?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন