হে বাংলাদেশ!
আমি সোহাগ বলছি – তোমারই মাটির সন্তান,
ঘাম ঝরানো সকাল-সন্ধ্যার খাঁটি শ্রমিক,
স্বপ্ন দেখেছিলাম,
এক টুকরো জমি, ছেঁড়া চালের ঘর আর
ছেলেমেয়ের মুখে হাসি ফোটাবো বলে।
হে বাংলাদেশ!
আমি চাঁদাবাজদের চাঁদা দেইনি।
আমি মাথা নত করিনি কুচক্রী হায়েনাদের কাছে,
তাই তারা এসে আমার বুক চিড়ে লিখে গেল
অন্যায়ের বিজয়গাঁথা!
ওরা মানুষ না,
ওরা বিবেকহীন শকুন,
ওরা রাতের আঁধারে মুখোশ পরে,
দিনদুপুরে গিলে খায় প্রান্তিকের নিঃশ্বাস।
হে বাংলাদেশ!
আজ আমার স্ত্রী,
যে প্রতিদিন চোখ রাখতো জানালায়,
তার চোখে নেই আর প্রতীক্ষার দীপ্তি,
শুধু অন্ধকারে ঘেরা দীর্ঘ হাহাকার।
আমার সন্তানেরা, যারা বলতো“আব্বু”
তাদের ওই ডাক যেন বুকে বজ্রাঘাত!
তারা আজ জানে না, কেন আর ফিরবো না আমি।
হে বাংলাদেশ!
আমার ঘাম, আমার স্বপ্ন, আমার সৎ পথ চলা,
সবই পিষে গেল পাথরের নিচে,
শুধু এই জন্য যে, আমি“না বলেছিলাম,
দুর্নীতির পক্ষে, অন্যায়ের প্রস্তাবে।
হে বাংলাদেশ!
তুমি সাক্ষী থেকো,
আমি মাথা নত করিনি।
আমি পা চাটিনি হায়েনাদের,
তুমি জানো, আমি চেষ্টা করেছি মানুষ হয়ে বাঁচতে।
হে বাংলাদেশ!
তোমার মাটিতে পড়ে আছে আমার রক্ত,
তোমার বাতাসে ভাসছে আমার শেষ নিঃশ্বাস।
আমার একটাই অনুরোধ,
আমার সন্তানদের মানুষ করো,
ওরা যেন হায়েনা না হয়,
ওরা যেন ভালোবাসতে শেখে,
সত্য বলার সাহস পায়,
আরেকটা“আমি”যেন আর না জন্মায় রক্তাক্ত
হওয়ার জন্য।

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৪২
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন