শিক্ষকদের মাথায় বোঝা ভারি ,
দেশের তরে শতশত মানুষ গড়ি।
বাঁচতে হলে বুঝতে হবে ভাই
একটু থেমে শুনে যাও তাই।
শিক্ষকদের বেতন এতই কম,
মাস চলে না যে তাদের একদম।
সাড়ে ১২ হাজারে সংসার চলে!
বলো দেখি ভাই,কেমন করে?
ভাড়া, ওষুধ, বাজার শেষে,
পকেট থাকে শূন্য প্রাতে।
বাড়ি ভাড়া হাজার টাকা,
চিকিৎসা ভাতা আছে সাথে,
এই টাকাতে একজন শিক্ষক,
চলবে বলো কেমন করে?
সম্মানে কী আর পেটটা ভরে,
ঘুম আসে না তাই রাত জেগে রয়।
সম্মান পায় মুখে সবার,
চোখে তার জল গোপনে ঝরে,
দেশ গড়ার কারিগর সে,
নিজে জ্বলে, সকলকে আলো দিয়ে।
গাড়ি ভাড়া নাই বা দিলাম,
চলছি ধুলোয় পায়ে হেঁটে,
পোশাকটাও সেলাই করা,
তবু বলে,”আমি শিক্ষক বটে!”
থাকছে না হয় নিজের ঘরে,
মাছ মাংস তাই দিলো ছেড়ে,
বাঁচার মতো একটু ভেবে,
চালে-ডালে মিলিয়ে তাতেই চলে।
শিক্ষকদের ও তো সংসার আছে,
ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে যবে
তাদের পড়ায়ও তো খরচ বেজায়,
শিক্ষকের ঐ বেতন থেকেই সব খরচ যায়।
তবু মুখে নেই তাঁর কোনো অভিযোগ ।
দিনে দিনে খরচ বাড়ে,
তবু শিক্ষকরা রয়, চুপটি করে,
সব জিনিসের দাম যখন, লাগাম ছাড়া,
ভাবে শুধু তাদের বেতনটা, কবে বাড়ে?
দেশটা আজ ডিজিটাল হলো, কী করে?
শিক্ষকের ঘাম মাটিতে পড়েছে বলে।
তবু তাদের খবর রাখে না কেউ,
অভিমানে বুকটা যে কাঁপে।
স্বার্থের ভিড়ে সবাই হারিয়ে গেছে,
কেউই দেখে না, শিক্ষকরা আজ কেমন আছে?
শিক্ষকরা শুধু ছাত্র গড়ে এই দেশের তরে,
ভুলে গিয়ে নিজেদের দুঃখ-ব্যথা অপার।
নালিশ নিয়ে ফিরেছে অনেকবার,
শুনেনি কেউ শিক্ষকদের আবদার।
দেশের শিক্ষকরা আজ, চায় যে শুধু,
সম্মান আর তাদের ন্যায্য পাওনাটুকু।
শিক্ষক বাঁচিলেই, তবে দেশ বাঁচিবে,
এ কথা ভুলে যেও নারে ভাই,
আজকে তুমি যে, বড় আমলা তবে,
ভুলনা তা, কোন এক স্যারের হাতেই ।
তাই বলি শেষ প্রার্থনায়,
শিক্ষকের এই কষ্টটা বোঝোরে সবাই,
শুধু বেতনই নয়, সামান্য এই চাওয়া গুলি পূর্ণ হলে,
তবেই দেশটা এগিয়ে যাবে,নতুন প্রভাত সাজে।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন