তুমি ছাড়া আমি,
জলের মত নির্বাক,
আকাশে না ওড়া পাখি,
বাতাসেও নেই তার ডাক।
যেন হৃদয়টা হঠাৎ থেমে গেছে,
তুমি না-থাকায় সব শব্দ,
আমার কাছে নিঃশব্দে বাজে।
তুমি ছিলে আমার সকাল,
তোমার হাসিতেই মিলত,
জীবনের রঙিন স্বপ্ন।
এখন শুধু সময় কাঁদে,
ঘড়ির কাঁটাও বড় ক্লান্ত,
প্রতিটি মুহূর্তে ব্যথায় ডাকে।
তুমি ছাড়া আমি
একটা অসমাপ্ত কবিতা,
যার ছন্দ নেই, তাল নেই,
নেই কোনো মর্ম অর্থ।
একটা খোলা জানালা,
যেখানে বাতাস আসে না,
একটা গান, যার সুরটা,
আর বাজে না।
তুমি ছাড়া আমি,
পুড়ে যাওয়া একটা চিঠি।
ধোঁয়ায় উড়ে যাওয়া অক্ষর।
তবু এখনো গন্ধ আছে,
তোমার ছোঁয়ার, তোমার প্রতারণার,
দিয়ে যাওয়া তোমার অশ্রু ছায়ার।
তুমি ছাড়া আমি যেন,
নির্জন মেঘলা দুপুর,
ভেতরে ভেতরে জ্বলি,
বাইরে নিঃশব্দতা
তবু প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
আমি চিৎকার করি,
“তুমি কিভাবে পারলে?”
তুমি চলে গেলে,
আর আমি থেকে গেলাম,
এক বুক চূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে।
তোমার প্রতিটি মিথ্যে ভালোবাসা
আমার শরীরজুড়ে দগ্ধ চিহ্ন,
তবু আজো পাগলের মত খুঁজি
সেই চোখ, যেগুলো একদিন,
আমার বলে ভেবেছিলাম!
তুমি ছাড়া আমি?
একটা অন্ধকার ঘর,
যেখানে আলো আসে না,
আসে শুধু স্মৃতির বজ্রপাত।
যা পোড়ায়, ছিঁড়ে ফেলে,
হৃদয়ে লেখা কবিতার পাতা।
তুমি ছিলে আগুন,
আমি ছিলাম শুকনো পাতা,
যা ছিল পোড়ানো সহজ।
এখন আমি শুধু ছাই।
নীরব, নির্জন, নিঃশেষ।
তবু বলি তুমি,
“যদি আবার আসো,
আমি আবারও পুড়তে রাজি,
কারণ তুমি ছাড়া আমি,
আমি নই আমি কেবল,
একটা বেদনার দগ্ধ চিহ্ন!”

পরে পড়বো
২৭৬
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন