আচ্ছন্ন চিন্তার মধ্যে স্তব্ধতায় অকস্মাৎ শুনি
সেলাই কলের চলা। পড়শী ঘরণী
বানায় শিশুর জামা।
হঠাৎ গুলির শব্দ। চিৎকার, ধর ধর ধর
কিন্তু আমি কাকে ধরবো? স্টেনগান কাঁধে নিয়ে হেঁটে যায়
উনিশশো তেয়াত্তর সাল।
বাগান মাড়িয়ে দিয়ে জীপ যায়,
আবার গুলির শব্দ
মা…মা…মা জানালা বন্ধ করো
টেলিফোন টেলিফোন…
আবার গুলির শব্দ। বাঁচাও বাঁচাও…
বানাও শালাকে ছিঁড়ে ফেলো–
…ট্যাট্…ট্যাট্…ট্যাট
খোল্ শালী চোরের চোদানী শাড়ি খোল্
…ট্যাট্…ট্যাট্…ট্যাট
ছেলে তুই, ছেলে তুই আমার ধর্ম বাপ তুই…
…ট্যাট্…ট্যাট্…ট্যাট
সেলাই কলের চলা থেমে আছে। সব দরজা বন্ধ করে
জেগে আছি বাতাসের বিরুদ্ধে নীরব। একেমন শিহরণ
গ্রীষ্মকে শীত আর শীতকেও গ্রীষ্ম করে দেয়?
আমার কি জাড় আছে? শরীর কি ভিজে গেলো ঘামে?
বোধের উৎস কই, কোনদিকে?
আমাকে রাখতে দাও হাত।
একবার স্পর্শ করি শিশ্নে, সহ্যগুণে, প্রেমে
রক্তের ভিতর দিয়ে একবার দেখা যায় যদি
বিশাল মিনার সেই, যাকে লোকে পুরুষার্থ বলে।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন