নারীরূপী রাবণ রাক্ষসী

Amarendra sen Amarendra sen

রাবন সপ্ত নরক করে ভ্রমণ
এসেছে ফিরে নারীরূপে
সুন্দর সোনার সুখের মর্ত ভূমিকে
মিলিয়ে দিতে নরককূপে ।
গর্ভোদকমহাসাগর অতল হতে
হিংসা পাপ ক্ষুধার স্রোতে
দৈত্যমাতাদিতি যেন অতি ভীষণ
সোনার বাংলা করে শাসন।
অসংখ্য শুম্ভ নিশুম্ভ সন্তান তার
সোনার বাংলা করে ছারখার
লোক লস্কর তার ভীষণ ভয়ংকর
অত্যাচারে কাপে নিত্য ভূধর।
ন্যায়ের কথা নেই তাদের অভিধানে
অজ্ঞানীকেই তারা শুধু জ্ঞানী মানে
অত্যাচার উৎশৃঙ্খলা যথেচ্ছাচার
অন্যায় দিয়েই তাদের ন্যায়বিচার।
ভয় হত্যা রাহাজানি খুন জখম
কয়েম করেছে ভয়ের শাসন
ভয়ে কম্পমান দুরু দুরু বুকে
প্রতিবাদ নেই কারো ভীরু মুখে।
ন্যায়পাল ন্যায়ালয়ে ভুলে যায়
বাড়ে বাড়ে বিচারের বাণী
শূলহস্তে পিছনে থাকেযে দাড়ায়ে
রাবনির পাঠান শূলপাণি ।
তারা মাতার সামনে সন্তানেরে
করে হত্যা অবহেলে
পত্নীকে করে নরক নির্যাতন
পতির সামনে ফেলে।
কতযে অসহায় ভিটেমাটি ছাড়া
জীবনের ভয়ে হয়েছে দীনহীন
তাদের চোখের জলের হিসেব আর
এজীবনে হবে না কোনোদিন।
ভয় সন্ত্রাসের অপরূপ মায়াবী
সুর্পণখার মতো রূপ বদলায়
রাবণ হয়ে করে সীতাকে হরণ
রাম হয়ে তারই বিচার চায়।
এমনি ভয়ঙ্কর শুম্ভ নিশুম্ভ তার
অসহায় অবলাকে করে নির্যতন
মৃতার শরীরেও করে নরকের উল্লাস
মাংস লোলুপ পশুর মতন।
বাংলার দূর্গা চারিদিকে তোমার আগমনী
বোধনে ঝলসে উঠুক তোমার তীক্ষ্ণ অসি
মহিষাসুরের সাথে এবার মর্দন হবে
অত্যাচারী নারীরূপী রাবণ রাক্ষসী।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৩৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন