রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে বেজে উঠল একটা ফোনকল। নিশাত ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখল অচেনা নাম্বার। কিছুটা দ্বিধা নিয়ে সে কল রিসিভ করল। অপরপ্রান্ত থেকে এক রহস্যময় কণ্ঠ বলল, “আপনার জীবন নিয়ে খেলতে চান? তাহলে এই ঠিকানায় চলে আসুন।” নিশাত হতভম্ব হয়ে গেল।
শহরের এক কোণে, রাহাত—একজন চৌকস গোয়েন্দা, সম্প্রতি শহরের একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ব্যস্ত। তার চারপাশে রহস্য ঘনিয়ে আসছে, অথচ সে জানে না সামনে কী অপেক্ষা করছে। হঠাৎ ঘটনাক্রমে তার সামনে এসে দাঁড়ায় নিশাত। তার চোখে ছিল একরাশ ভয়, আর হাতে একটা চিঠি। চিঠিতে লেখা, “যদি বাঁচতে চাও, ভালোবাসাকে বিশ্বাস কোরো না।” রাহাত বুঝতে পারে, নিশাত কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
নিশাত ও রাহাত একে অপরের প্রতি অনুভব করতে থাকে এক অদ্ভুত আকর্ষণ, অথচ তাদের চারপাশে একের পর এক বিপদ ঘনিয়ে আসছে। নিশাত বুঝতে পারে, তার অতীতের কোনো ভুল এই রহস্যের সাথে জড়িত। আর রাহাত বুঝতে পারে, এই রহস্য উন্মোচন করতে গেলে তাকে নিজের ভালোবাসাকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে হবে।
এক সন্ধ্যায় নিশাত রাহাতের অফিসে গিয়ে বলে, “আমি জানি আমার জীবন বিপদের মধ্যে, কিন্তু আমি চাই না তুমি এতে জড়িয়ে পড়ো।” রাহাত হাসল, “তুমি কি জানো, বিপদই আমাকে টেনে নিয়ে আসে! আমি এখন পিছু হটতে পারবো না।” তাদের কথোপকথনের মাঝেই দরজার নিচ দিয়ে চলে এলো আরেকটি চিঠি—একটি নতুন হুমকি।
দিন গড়াতে থাকে। নিশাত আর রাহাতের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে, অথচ তাদের চারপাশে ধীরে ধীরে জমতে থাকে এক অনিশ্চিত অন্ধকার। নিশাত একদিন রাহাতকে ডেকে বলে, “আমার জীবনে কিছু এমন ঘটনা আছে যা আমি কাউকে বলিনি। হয়তো তোমাকে বলাও উচিত নয়।” রাহাত তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, “তোমার সবটুকু নিয়ে আমি ভাবতে চাই, নিশাত। রহস্য নয়, কেবল তুমি।”
নিশাতের জীবনের গভীরে প্রবেশ করতে গিয়ে রাহাত এমন কিছু সত্যের মুখোমুখি হয় যা তার নিজের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। নিশাত কি নির্দোষ? নাকি সে-ই এই চক্রান্তের মূল খেলোয়াড়?
এক রাতে, একা নিশাত বসে ছিল সমুদ্রের ধারে। রাহাত তার পেছন থেকে এসে বলল, “আমি জানি তুমি আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছ। কিন্তু আমি চাই তুমি নিজে এসে বলো। কারণ, আমি তোমাকে নিয়ে যেতে চাই এমন এক জায়গায় যেখানে শুধু ভালোবাসা থাকবে, কোনো অন্ধকার নয়।”
প্রতিটি বাঁকেই অপেক্ষা করছে নতুন এক চমক, নতুন এক ষড়যন্ত্র। ভালোবাসা আর বিশ্বাস কি টিকবে এই ঝড়ের মাঝে? নাকি সবকিছু হারিয়ে যাবে? নিশাত কি পারবে তার অতীতের কালো ছায়া থেকে মুক্তি পেতে? আর রাহাত? সে কি পারবে নিশাতের জন্য নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে?
তাদের গল্প কি ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে? নাকি হারিয়ে যাবে এক অনিশ্চিত পরিণতির দিকে?
(চলবে…)
তোমার ছোঁয়ায় বেঁচে থাকি ১


০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৬০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন